আজ, সোমবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ দক্ষিণবঙ্গে। বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হচ্ছে সিত্রাং। সুতরাং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে সরাসরি এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে না পড়লেও প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত রাজ্য। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও মোতায়েন করা হয়েছে। সতর্ক করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে দিঘার সমুদ্র। সৈকতে চলছে মাইকিংও।
ঠিক কী অবস্থা পূর্ব মেদিনীপুরে? নন্দীগ্রাম ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু হলদি হুগলি নদী এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর কথা বলছেন মৎস্যজীবীদের সঙ্গে। দুর্যোগে কোনও নৌকা যাতে মাছ ধরতে না যায় তাতে নজরদারি রেখেছেন। আবার পঞ্চমখন্ড জালপাই, কেন্দেমারি চর, কাঁটাখালি, তালপাটি, গাঙরাচর–সহ নানা নদী তীরের মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে। এমনকী মৎস্যজীবী রেজিস্ট্রেশনের বিষয় সচেতন করছে নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লক মৎস্য বিভাগ।
কী অবস্থা দেখা যাচ্ছে দিঘায়? সকাল থেকে উত্তাল হয়েছে দিঘার সমুদ্র সৈকত। দফায় দফায় চলছে মাইকিং। বিভিন্ন ঘাটগুলিতে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে উপকূল এলাকার মানুষকে সতর্ক করা হয়েচ্ছে। ডিজাস্টার এবং এনডিআরএফ–কে নামানো হয়েছে। দিঘা–সহ তাজপুর, হলদিয়া উপকূল এলাকায় চলছে দফায় দফায় ব্যাপক মাইকিং। তবে শুধু দিঘাই নয় সুন্দরবন এলাকাতেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন।
ঠিক কী বলছেন মৎস্য আধিকারিক? নন্দীগ্রাম ব্লক মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটালকে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘জেলে, মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে সরকারি নজরদারি নির্দেশিকা যেমন রূপায়ণ করা হচ্ছে তেমনি মৎস্য দফতরের প্রকল্পের সুযোগ–সুবিধা সম্পর্কে অবগত করা হচ্ছে। এমনকী সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ের জেরে মৎস্য দফতর নেমে কাজ শুরু করেছে। মৎস্যজীবীদের পাশে থেকে তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে। এখানে নদী থেকে সৈকত সর্বত্র উত্তাল পরিস্থিতি হয়েছে। দীপাবলির উৎসব কার্যত ভেস্তে দেবে এই ঘূর্ণিঝড়।’