আলিপুরদুয়ারে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন।রেল লাইনের উপর উপুড় হয়ে পড়েছিল দেহটা। কাঁধে স্কুল ব্যাগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, টিউশন পড়ে বাড়ি ফিরছিল। কিন্তু কানে ছিল হেডফোন। সম্ভবত তাতে গান শুনছিল ১৫ বছর বয়সী ওই স্কুল ছাত্র। স্থানীয় সূত্রে খবর কিছুটা আনমনেই হেড ফোনে গান শুনছিল ওই কিশোর। এদিকে ওই লাইনে যে ট্রেন ঢুকে গিয়েছে তা খেয়ালই করেনি সে। আচমকাই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরের। গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, স্টেশনে এসে শুনলাম এরকম একটা ঘটনা হয়েছে। প্রাইভেট টিউশন পড়ে বাড়ি যাচ্ছিল। কাছেই বাড়ি। আচমকাই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে। ওর বাবার সঙ্গে পরিচয় আছে। স্থানীয় সূত্রে খবর. ওই কিশোরের নাম সূর্য দাস। কুমারগ্রাম ব্লকের দক্ষিণ নারারথলি এলাকার বাসিন্দা। অন্যান্যদিনের মতোই টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে। এরপর সকাল ১০টা নাগাদ সে রেললাইন ধরে বাড়ি ফিরছিল। এদিকে মোবাইলের হেডফোনটি কানেই গোঁজা ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই মোবাইলে এতটাই বিভোর হয়ে ছিল যে ট্রেনের আওয়াজও সে ঠিকঠাক বুঝতে পারেনি। এরপর ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যায়। পরে আলিপুরদুয়ার থেকে জিআরপি এসে দেহটি ময়নাতদন্তর জন্য নিয়ে যায়। এদিকে স্কুল পড়ুয়া ওই ছাত্রের মর্মান্তিক পরিণতি মানতে পারছেন না অনেকেই।