সোমবার বিকালে বারাসতের নবপল্লির নন্দনকানন এলাকায় ঝড় বৃষ্টির সময় আচমকাই একটি ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে যায়। একের পর এক বাড়িতে লোডশেডিং হয়ে যায়। মারাত্মক সমস্য়ার মধ্যে পড়ে যান বাসিন্দারা। বিদ্যুই দফতরেও খবর দেন তাঁরা। তবে তাঁদের অভিযোগ, রাতে কেউ আসেননি। প্রায় ২০ ঘণ্টা এলাকা কার্যত বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল। এরপরই মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ দফতরের লোকজন ট্রান্সফর্মার সারানোর জন্য আসেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা ট্রান্সফর্মার সারাই করে দেন। এদিকে সেই ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতেই একের পর এক বাড়িতে টিভি, ফ্রিজ, জলের পাম্প, এসি সহ নানা ধরণের বৈদ্যুতিক সামগ্রী পুড়ে যায় ও নষ্ট হয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, একের পর এক বাড়িতে একই ঘটনা হয়েছে। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কেন এমন হল?
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ট্রান্সফর্মারে বিদ্যুৎ সংযোগ করতে আচমকাই ভোল্টেজ বেড়ে গিয়েছিল। তার জেরেই বৈদ্য়ুতিক সামগ্রীগুলি পুড়ে যায়। এটা দফতরের গাফিলতি। বিদ্যুৎ দফতরকেই এর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এরপরই ক্ষতিপূরণের দাবিতে দফতরের কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। কয়েকজনকে আটকেও রাখেন তাঁরা। তবে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের দাবি, ট্রান্সফর্মার সারানোর পর কোনওভাবে একটা ফেজ হাই ভোল্টেজ হওয়ার জেরেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে অনড়। তাঁদের দাবি, অদক্ষ কর্মীদের দিয়ে কাজ করাতে গিয়েই এত মানুষকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে বিদ্যুৎদফতর। তবে গোটা ঘটনায় খতিয়ে দেখছে দফতর।