এ বছর আমের ফলন কম হওয়ায় বাজারে আমের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সাধারণত এই সময় বাজার দখল করে থাকে মালদহের আম। কিন্তু, এখন মালদহের বাজার দখল করে রয়েছে নদিয়ার আম। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কারণে মালদহে আমের ফলন অর্ধেক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে এ বছর আমের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞমহল। আর এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই দাম বাড়তে পারে আমের।
শুধু যে মালদহে আম অর্ধেক হয়েছে তা নয়, সমস্ত জেলাতেই এবার আমের ফলন তুলনামূলকভাবে অনেক কম হয়েছে। এ বছর আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গাছে সেরকমভাবে মুকুল হয়নি। ফলে আমের ফলন সেভাবে হয়নি। সাধারণত বৈশাখ মাসের শেষের দিকে বাজারে আম আসা শুরু করলেও এবার তা চলতি মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসের প্রথম দিকে বাজারে আসবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। জেলা উদ্যানপালন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, প্রতিবছর মালদহ যে আম হয় এবার তার চেয়ে আমের ফলন অনেক কম হয়েছে। এ বছর মালদহের ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এই জেলায় হিমসাগর, ল্যাংড়া, লক্ষ্মণভোগ, ফজলি, আম্রপালি, গোপালভোগ-সহ প্রায় আশিটিরও বেশি প্রজাতির আম চাষ হয়।
অন্যদিকে এ বছর জেলায় আমের ফলন সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু, কেন এই ফলন কম? সে প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এ বছর শীত অনেকটা দেরি করে ছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত কার্যত শীত ছিল। তার ওপর ডিসেম্বরে বৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে আমে মুকুল আসতে দেরি করেছে। আবার বহু গাছে মুকুলই আসেনি। তারওপর মুকুল আসলেও আমে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং তাপপ্রবাহের কারণে। যেখানে মালদহে প্রতিবছর তিন থেকে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আমের ফলন হয় সেখানে এবছর দেড় থেকে দু লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আমার ফলন হবে না বলেই মনে করছে জেলা উদ্যানপালন দফতর। আর ঘাটতি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই আমের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছে জেলা উদ্যানপালন দফতর।