ওপারে ইলিশ বেশি হলে এপারে আসে। এপারে আম হলে যায় ওপারে। এমনটাই ছিল দুদেশের সম্পর্ক। কিন্তু কোথা থেকে কী যেন হয়ে গেল। সব কিছু কার্যত ওলটপালট। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সেখানকার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসেছিলেন মহম্মদ ইউনুস। তবে ইউনুস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসার পর তার রেশ ছুঁয়ে গিয়েছিল এপার বাংলার বর্ধমানেও। আসলে এপার বাংলার বর্ধমানে রানিগঞ্জ বাজারের কাছে লস্করদিঘি পশ্চিমপাড়ায় মহম্মদ ইউনুসের শ্বশুরবাড়ি।
যখন ইউনুস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে বসেছিলেন তখন খুশির হাওয়া ছিল বর্ধমানের সেই শ্বশুরবাড়িতেও। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতিতে সেই বাড়িতেই নতুন করে উদ্বেগ দানা বেঁধেছে।
এই বাড়িতেই থাকেন ইউনুসের ছোট শ্য়ালক আশফাক হোসেন। এদিকে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ইউনুস। তার আগে ও পরে একাধিকবার বর্ধমানের শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন ইউনুস। সেই সময় তাঁর শ্যালক এবিপি আনন্দে বলেছিলেন, শীতে জামাইবাবুর বাড়িতে গেলে অবশ্যই বর্ধমানের সীতাভোগ, মিহিদানাও যাবে।
তবে এবার তো শীত শুরু হতেই ফের অস্থির বাংলাদেশ। নতুন করে অস্থিরতা মাথাচাড়া দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই সীতাভোগ ও মিহিদানা বাংলাদেশে যাবে তা নিয়ে অনেকেরই সংশয়। তবে এনিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ির কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
মহম্মদ ইউনুসের স্ত্রী হলেন আফরোজি ইউনুস। তাঁরা সব মিলিয়ে ৬ ভাইবোন। অত্যন্ত মেধাবী আফরোজি। বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। এরপর যান বর্ধমান রাজ কলেজে। এরপর পদার্থবিদ্যায় তিনি পিএইচডি করেছিলেন। এরপর বাংলাদেশে গিয়ে সেখানকার জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্য়াপনা করেছেন তিনি। এরপর তিনি যখন ঢাকায় ছিলেন তখনই ইউনুসের সঙ্গে দেখা। এরপর বিয়ে হয়েছিল তাঁদের। সেই সূত্রে ইউনুসের শ্বশুরবাড়ি হল বর্ধমানেই।
যে সময় ইউনুস বসেছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার চেয়ারে তখন বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল ইউনুসের এপার বাংলার শ্বশুরবাড়ির কথা।
তবে এখন ইউনুসের সেই শ্বশুরবাড়িতেই উদ্বেগের ছায়া। একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে ওই পরিবার এখন কিছুটা হলেও উদ্বিগ্ন। তবে তাঁরা চান এই অস্থিরতা কমে আসুক।
ইউনুসের হাতে এখন বাংলাদেশের ভার। আর সেই ইউনুসের জমানায় বাংলাদেশে যে সমস্ত কাজকর্ম শুরু হয়েছে তাতে লজ্জায় মাথা হেঁট অনেকের। ক্ষমতায় আসার পরে তিনি বার বার বলতেন সংখ্য়ালঘুদের রক্ষা করা, তাঁদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই বাংলাদেশে একী পরিস্থিতি।