ফোন করে হোক বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে বাড়িতে বসে আনিয়ে নিতে পারেন বাঙালির পছন্দের খাবার। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে পুজোর কয়েকটি দিন এই বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে করোনা আবহে ঘরেই বসেই বাঙালিরা তাঁদের প্রিয় খাবার উপভোগ করতে পারে।
পুজো শুরুর আগে মহালয়া ও রথের দিন এই বিষয়ে একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছিল। সেটি সাফল্য লাভ করার পর এবার ষষ্ঠী থেকে দশমী - এই পাঁচদিন ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপের মারফত পছন্দের খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে পরিষেবা দেওয়ার কাজ শেষ। আজ অষ্টমীর দিন থেকে দশমীর দিন পর্যন্ত এই পরিষেবা চলবে। মহাষ্টমীর দিন গ্রাহকদের জন্য পুরোপুরি নিরামিষ খাবার রাখা হয়েছে। এদিনের মেনুর মধ্যে রয়েছে খিচুড়ি, বেগুনি, লাবড়া, চাটনি, পাঁপড়, পায়েস ও মিষ্টি পান। নবমীর মেনুতে রাখা হয়েছে সরু চালের ভাত, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, ফিশ ফ্রাই, কচি পাঁঠার ঝোল, চাটনি, মিষ্টি দই ও মিষ্টি পান। নবমীর মতো দশমীর মেনুতে একই জিনিস থাকলেও এর সঙ্গে থাকছে বিশেষ কিছু চমক। মিষ্টি হিসেবে পাওয়া যাবে শক্তিগড়ের ল্যাংচা, রসগোল্লা, পান্তুয়া ও বর্ধমানের সীতাভোগ ও মিহিদানা। এর আগে ষষ্ঠী ও সপ্তমীর দিনহরেক রকমের খাবারের আয়োজন করা হয়। সপ্তমীর দিন মেনুতে বিশেষ আকর্ষণ ছিল সরষে ইলিশ।
ইতিমধ্যে সরকারের এই উদ্যোগ রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। সরকারের উদ্যোগে যে নম্বরগুলিতে খাবার অর্ডারের ব্যবস্থা করা হয়, সেগুলি হল ৯১৬৩৩২৩৫৫৬ বা ৮১৭০৮৮৭৯৪১ বা ৬২৯০২২৫৮৫৯। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট দিনের জন্য খাবার অর্ডার করতে হলে আগের দিন রাত ৯টার মধ্যে বা রাতে খাবার চাইলে সকাল ১০টার অর্ডার দিতে হবে। সরকারের এই উদ্যোগে রীতিমতো খুশি গ্রাহকরা। তবে তাঁদের বক্তব্য, পরিষেবা যদি আরও তাড়াতাড়ি হয়, সেই বিষয়টি দেখা উচিত।