বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Durga Puja: সম্প্রীতির পুজো রায়গঞ্জে, দেবীর কাছে ভোগ নিবেদন মুসলিম সম্প্রদায়ের

Durga Puja: সম্প্রীতির পুজো রায়গঞ্জে, দেবীর কাছে ভোগ নিবেদন মুসলিম সম্প্রদায়ের

সম্প্রীতির পুজো রায়গঞ্জে।

মেহের আলি নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমরাও সব নিয়ম মেনে পুজোয় অংশ নিয়ে থাকি। ভোগ দেওয়া, প্রসাদ বিতরণে আমরা অংশ নিই। আমরা নিরামিষ খাই পুজোর কয়েকদিন। আত্মীয় স্বজনরাও আসেন। পুজোর সময় আমরা সবাই খুব আনন্দে থাকি।

সম্প্রীতির পুজো উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জের মেহেন্দিগ্রাম সর্বজনীন দুর্গোৎসব যেন সম্প্রীতির মিলনক্ষেত্র। প্রায় তিনশ বছরের প্রাচীন এই দুর্গাপুজো। এই পুজোর আয়োজনে হিন্দু ও মুসলমান উভয় সম্প্রদায় একেবারে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসে। কোথাও বিভেদের লেশমাত্র নেই। চাঁদা তোলা থেকে পুজোর আয়োজন সর্বত্র একেবারে সরাসরি অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন।

জনশ্রুতি আছে বর্তমান বাংলাদেশের হরিপুরের জমিদার দুর্লভ রায়চৌধুরী এই পুজোর আয়োজন করেছিলেন। সেই সময় দেশভাগ হয়নি। রায়গঞ্জ থেকে হেঁটে জমিদারবাড়িতে গিয়ে পুজোর সামগ্রী বয়ে আনা হত। পরবর্তী সময় জমিদারি ব্যবস্থার বিলোপ ঘটে। কিন্তু পুজোর আয়োজনে ভাটা পড়েনি। এখনও দুই সম্প্রদায়ই পুজোর আয়োজনে অংশ নেন।

এমনকী মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন পুজোর কয়েকদিন যাবতীয় রীতি মেনে দেবীর কাছে অর্ঘ্য নিবেদন করেন। এমনকী অনেকেই সেই সময় নিরামিষ খেয়ে থাকেন।

পুজোর অন্যতম কর্মকর্তা রামেশ্বর রায় বলেন, এই পুজো জমিদার করতেন।আমরা চাল, বাতাসা, চিনি সব জমিদারবাড়ি থেকে আসত। বর্তমানে উভয় সম্প্রদায়ের লোকজনই এই পুজোর আয়োজন করেন। হিন্দু, মুসলিম সকলেই নিরামিষ খান পুজোর সময়।

অন্যদিকে মেহের আলি নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, আমরাও সব নিয়ম মেনে পুজোয় অংশ নিয়ে থাকি। ভোগ দেওয়া, প্রসাদ বিতরণে আমরা অংশ নিই। আমরা নিরামিষ খাই পুজোর কয়েকদিন। আত্মীয় স্বজনরাও আসেন। পুজোর সময় আমরা সবাই খুব আনন্দে থাকি। আরতির সময় আমরা সকলেই থাকি। কেউ যদি ভুল করে আমিষ খেয়ে ফেলেন তবে তিনি পুজোর দিকে ভুলেও আসেননা। 

 

বন্ধ করুন