গতবারের মতো এবারও সরকারি তরফে পুজো অনুদান পেয়েছে ক্লাবগুলি। কিছুটা বেশিই অনুদান পেয়েছে ক্লাবগুলি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করানোর ক্ষেত্রে কি আদৌ উৎসাহ রয়েছে ক্লাবগুলির? উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া উঠে আসছে। কথা ছিল মহালয়ার দিন ভার্চুয়াল মাধ্য়মে পুজোর উদ্বোধন করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে কোচবিহারে প্রশাসনের তরফে হোয়াটস অ্যাপগ্রুপে উদ্বোধনের জন্য আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেখা যায় সেই আবেদনে বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল?
তবে কি দুর্নীতির অভিযোগের প্রভাব পড়ল পুজো উদ্বোধনেও? যেভাবে শাসকদলের একের পর এক নেতামন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যাচ্ছেন তার জেরেই কি পুজো উদ্বোধনে এবার শাসকদলের কাউকে বাছতে চাইছেন না পুজো উদ্যোক্তারা? এনিয়ে নানা কানাঘুষো শুরু হয়েছে।
তবে পুজো উদ্যোক্তাদের একাংশের মতে, সাধারণত উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ পুজো মণ্ডপ পঞ্চমী বা ষষ্ঠীতেই কাজ শেষ হয়। তারপরই পুজোর উদ্বোধন করা হয়। সেক্ষেত্রে মহালয়াতে উদ্বোধন হলে তখনও মণ্ডপের কাজ সম্পূর্ণ হবে না। সেকারণে অর্ধ সমাপ্ত মণ্ডপ উদ্বোধনে রাজি নন অনেকেই। সেকারণেই মহালয়ার দিন পুজো উদ্বোধনের ক্ষেত্রে বাস্তবিক সমস্য়া রয়েছে অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাদের। মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করাতে অনীহা ব্যাপারটাকে সেভাবে দেখতে চাইছেন না তাঁরা। তবে বিরোধীদের দাবি, আসলে পুজো উদ্বোধনের ক্ষেত্রে অনেকেই এবার অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা যে কমছে তা এবার বোঝা যাচ্ছে।
অন্যদিকে একাধিক পুজো উদ্যোক্তার দাবি, আগে থেকেই তাঁরা উদ্বোধকের নাম ঠিক করে নিয়েছেন। সেকারণেই আর নতুন করে মহালয়ার দিন পুজো উদ্বোধন করানো সম্ভব নয়। এদিকে সূত্রের খবর, একটি পুজোর উদ্যোক্তা প্রশ্নও করে ফেলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে দিয়ে পুজো উদ্বোধন করালে কি বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে?