অত্যধিক হারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। কিন্তু সেইভাবে বাড়েনি ভাড়া। তার ফলে বাস চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বেসরকারি বাস মালিকদের। করোনা পরিস্থিতির পর থেকে লাগাতার যেভাবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তার ফলে বহু মালিক বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন। অনেকেই আবার বাস বিক্রি করে দিয়েছেন। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে দুর্গাপুরের বাস মালিকদের সংগঠন রোটেশন পদ্ধতিতে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে রোটেশন পদ্ধতির চল ক্রিকেটে আছে।
দুর্গাপুরের মিনিবাস মালিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজল দে জানিয়েছেন, দুর্গাপুরে আগে ২৫০ টির বেশি বাস চলত। সেই জায়গায় করোনা পরিস্থিতিতে পর বাসের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২০০ টিতে। পরিবহণ ব্যবসায় লোকসানের কারণে অনেকেই আবার বাস বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে ১৫০-র চেয়েও কম বাস চলছে শহরের রাস্তায়। তারপর যাত্রী সংখ্যা কমেছে। ফলে বাস চালিয়ে তেল খরচ উঠছে না বলেই দাবি বেসরকারি বাস মালিকদের। কোনও কোনও বাস দুটি বা তিনটি ট্রিপের পর আর চালানো হচ্ছে না।
এই সমস্যার কথা মাথায় রেখেই বেসরকারি বাস মালিকরা রোটেশন পদ্ধতিতে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রতিদিন আলাদা আলাদা বাস চালানো হবে বলে মালিকরা জানিয়েছেন। অর্থাৎ আজকে যে বাসগুলি চলবে কালকে সেগুলি বন্ধ থাকবে। এই পদ্ধতিতে বাস চালানো হলে তুলনামূলক বেশি যাত্রী পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বাস মালিকরা। এরপরেও যদি বাস মালিকদের সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে পরবর্তী সময়ে মিনি বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে কাজল বাবু জানিয়েছেন। অন্যদিকে, এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা সমস্যায় পড়ার আশঙ্কা করছে। সে ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকলে তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল। যাত্রীদের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনে নাইট সার্ভিস চালু করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।