দুর্গাপুরো গণধর্ষণের শিকার ডক্তারি পড়ুয়াকে দেখতে রাজ্যে এসেছিলেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের দল। তবে গতকাল হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখতে করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় ভিনরাজ্যের প্রতিনিধি দলকে। উল্লেখ্য, নির্যাতিতা সেই ছাত্রী ওড়িশারই বাসিন্দা। এই আবহে সেই রাজ্য থেকে মহিলা কমিশনের সদস্যরা এসেছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। তবে হাসপাতালের কর্মীরা ব্যারকেড দিয়ে সেই প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ।
এদিকে কেন ওড়িশার মহিলা কমিশনকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় হাসপাতালে? কর্তৃপক্ষ জানায়, সেই সময় হাসপাতালের ভিতরে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে রাজ্যপালের জন্য মহিলা কমিশনের সদস্যদের কেন ঢুকতে দেওয়া হয়নি কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে মহিলা কমিশনের সদস্যদের বক্তব্য, 'আমাদের এলাকার মেয়ে, আমাদের রাজ্যের মেয়ের সঙ্গে এমনটা হয়েছে। তাকে দেখতে এসেছি তাই।' এদিকে আজ কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভনা মোহান্তি বলেন, 'নির্যাতিতা বর্তমানে চিকিৎসাধীন। আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যেন নির্যাতিতা সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবা পান। এই ধরণের জঘন্য কাজের জন্য দায়ীদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা উচিত।'
উল্লেখ্য, নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই পড়ুয়া সহপাঠীদের সঙ্গে কলেজের বাইরে খেতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন যুবক ওই তরুণীর পথ আটকায় এবং জোর করে হাসপাতালের পিছনের দিকে থাকা একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। এদিকে দুষ্কৃতীদের তাড়া খেয়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধুটি পালিয়ে যান বলে জানা যায়। এদিকে গণধর্ষণ করার পর ডাক্তারি পড়ুয়ার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা।
এদিকে সম্প্রতি মমত বন্দ্যোপাধ্যায় আবার বলেন, 'মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ কীভাবে মেয়েটি ক্যাম্পাসের বাইরে গেল।' তবে মমতার এই মন্তব্যের আগেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট করে দিয়েছিল, নির্যাতিতা ছাত্রী মোটেও অত রাতে ক্যাম্পাস থেকে বের হননি। এই নিয়ে বিবৃতি জারি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাতে লেখা ছিল, ৭টা ৫৮ মিনিটে সেই ছাত্রী কলেজ থেকে খেতে বেরিয়েছিলেন।