দুর্গাপুরে গণধর্ষণের শিকার ডাক্তারি পড়ুয়ার মেডিক্যাল রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেই রিপোর্টে নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্নের উল্লেখ করা হয়েছে। সঙ্গে যৌনাঙ্গ দিয়ে ব্যাপক রক্তপাতেরও উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্ষণের জেরেই তা হয়ে থাকতে পারে বলে চিকিৎসকদের মত। এদিকে ধৃতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এই মামলায়। ইতিমধ্যেই ধর্ষণের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে নির্যাতিতার মেডিক্যাল রিপোর্টেই। এই আবহে ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল এলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের জড়িত থাকার পাকা পোক্ত প্রমাণ পাওয়া যাবে।
এদিকে দুর্গাপুরের ঘটনা নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন কমিশনের সদস্য তথা বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। তাতে ১১ দফা সুপারিশের উল্লেখ আছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার বিনামূল্যে এবং সর্বোত্তম মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। এদিকে কমিশনে জমা পড়া রিপোর্টে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, এই মামলাটি ফাস্ট-ট্র্যাক আদালতে শুনানি করতে হবে। নির্যাতিতার বিশেষ পরীক্ষার বন্দোবস্ত করতে হবে। কারণ ট্রমার কারণে তিনি সকলের সঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার অবস্থায় নাও থাকতে পারেন। জাতীয় মেডিক্যাল কমিশনকে দুর্গাপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজে দ্রুত পরিদর্শনে যাওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে। হাসপাতালে একটি পুলিশ ফাঁড়ি বা পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র বসানোর সুপারিশ করা হয়েছে। হাসপাতাল চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পড়ুয়াদের বাইরে যাওয়ার এবং প্রত্যেকের ভিতরে ঢোকার সময় লিপিবদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ক্যাম্পাসে খাবারের দোকান তৈরির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্যাতিতা তরুণী ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১০ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই পড়ুয়া সহপাঠীদের সঙ্গে কলেজের বাইরে খেতে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন যুবক ওই তরুণীর পথ আটকায় এবং জোর করে হাসপাতালের পিছনের দিকে থাকা একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। এদিকে দুষ্কৃতীদের তাড়া খেয়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা বন্ধুটি পালিয়ে যান বলে জানা যায়। এদিকে গণধর্ষণ করার পর ডাক্তারি পড়ুয়ার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। ৩ হাজার টাকাও নাকি চাওয়া হয়েছিল সেই তরুণীর থেকে। তা না পেয়ে অভিযুক্তরা নাকি নির্যাতিতাকে মারধরও করেছিল। এই আবহে নিজের অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা দাবি করেন, ৫ জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল।