শহরের রাস্তায় পড়ে থাকা পাতা, ফেলে দেওয়া শাকসবজি, অথবা ডাবের খোসা বা অন্যান্য আবর্জনা নিমেষের মধ্যেই পরিষ্কার করা সম্ভব হবে। আর তার জন্য বিশেষ মেশিন কিনতে চলেছে দুর্গাপুর পুরসভা। এর নাম হল ‘লিফ সাকশন মেশিন’। ইতিমধ্যেই দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দুর্গাপুর পুরসভার তরফে একাধিক মেশিন কেনা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে হতে চলেছে এই যন্ত্রটি। মহারাষ্ট্রের একটি সংস্থার কাছ থেকে এই মেশিন কেনা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেজন্য এই বিশেষ যন্ত্রের কাজ খতিয়ে দেখতে শনিবার মহারাষ্ট্রের পুণের উদ্দেশে উড়ে গিয়েছেন পুরসভার তিনজন ইঞ্জিনিয়ার। এই মেশিনের ফলে শহর পরিষ্কার করা আরও সহজ হবে বলে জানাচ্ছেন আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত বোর্ড না থাকা পুরসভা নিয়ে ফিরহাদকে নির্দেশ মমতার, পুরভোট কি আরও পরে!
জানা গিয়েছে, পুরসভা এই যন্ত্র কিনতে চলেছে ন্যাশনাল ক্লিন ইয়ার প্রোগ্রাম প্রকল্পের তহবিল থেকে। ৫ বছর ধরে মেরামতি, বিমা সবমিলিয়ে এর জন্য খরচ হতে চলেছে প্রায় ৭৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
কীভাবে কাজ করবে এই মেশিন?
জানা গিয়েছে, একটি ট্রাকের উপরে এই যন্ত্র বসানো থাকবে। সেই ট্রাকটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াবে। আর যেখানেই এইসব আবর্জনা পড়ে থাকবে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে সেগুলি পরিষ্কার করা হবে। মেশিনে থাকবে একটি মোটা পাইপ। সেই পাইপের মাধ্যমে এয়ার প্রেশারের সাহায্যে জঞ্জাল টেনে নেবে মেশিনটি। পরে সেই জঞ্জাল ফেলে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এই ধরনের মেশিন সাধারণত বড় বড় শহরে অথবা বিদেশে ব্যবহার করা হয়। এই মেশিনে থাকবেন দুজন। একজন চালক ও অন্যজন সাফাইকর্মী। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই গাড়িটি আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলবে।
এ বিষয়ে পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত কোথাও এই যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না। সেদিক দিয়ে দুর্গাপুর পুরসভা রাজ্যের মধ্যে প্রথম লিফ সাকশন মেশিন কিনছে। কীভাবে এই মেশিন পরিচালনা করতে হবে তা দেখার জন্য পুণে গিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা। এর ফলে রাস্তা পরিষ্কার করা আরও সহজ হবে।
এদিকে, শহরে দূষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অনিন্দিতা জানান, পুরসভার তরফে শহরকে দূষণমুক্ত রাখার চেষ্টা করা হলেও অনেকেই সেই কাজে সাহায্য করছে না। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়েছেন, দূষণমুক্ত করার জন্য যে সমস্ত আধুনিক মেশিন রয়েছে সেগুলি সব পুরসভার কাছে থাকবে।