কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী ও শ্বশুর। ক্ষুব্ধ বাবার বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসীর রোষের মুখে শাশুড়ি। চলল গণধোলাই, ভাঙচুর। উত্তেজনা দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকায়।
মৃত বধূ নাম প্রথমা বিশ্বাস (২০)। আড়াই বছর আগে অন্ডালের দুবচুরুরিয়া এলাকার প্রথমা বিশ্বাসের সাথে বিয়ে হয় দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। দেড় বছর আগে কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় প্রথমা। তারপর থেকেই অত্যাচার চরমে পৌঁছয়। নিত্যদিন প্রথমাকে মারধর এবং অকথ্য গালিগালাজ করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বুধবার রাতে প্রথমার শশুর, শাশুড়ি এবং স্বামী মারধর শুরু করে। গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ বাবার বাড়ির লোকজনের।
বৃহস্পতিবার সকালেই শ্বশুর এবং স্বামীকে আটক করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে করে দুর্গাপুরের ডিএসপি হাসপাতালে পাঠায় তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে বাবার বাড়ির লোকজন এবং এলাকাবাসীরা একজোট হয়ে শাশুড়ি সোমা বিশ্বাসকে গণধোলাই শুরু করে। ভাঙচুর চালানো হয় বাড়িতে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, মৃত বধূকে লাগাতার অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে নিহত বধূর বাবার বাড়ির সদস্যরা। অভিযুক্ত শাশুড়িকেও আটক করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।