করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দুর্গাপুরে ফিরলেন শিক্ষক চিরঞ্জিত ধীবর। বুধবার সন্ধ্যায় ভুবনেশ্বর থেকে দুর্গাপুরে ফেরেন তিনি। বাড়ি ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন চিরঞ্জিতবাবু।
করোনা প্রতিষেধকের মানব পরীক্ষণে অংশগ্রণের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর এ জোনের বাসিন্দা চিরঞ্জিতবাবু। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে গত তাঁকে ভুবনেশ্বরে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকাররে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। গত ২৪ জুলাই ভুবনেশ্বর রওনা হয়েছিলেন তিনি। শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে ২৫ জুলাই তাঁর নানা রকম পরীক্ষা হয়। ২৯ জুলাই তাঁর দেহে প্রয়োগ করা হয়েছিল করোনা প্রতিষেধকের প্রথম মাত্রা। চিরঞ্জিৎবাবু জানিয়েছেন, প্রথম মাত্রা প্রয়োগের পর তাঁর কোনও শারীরিক উপসর্গ দেখা দেয়নি। বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি। সাত দিনের মাথায় তাঁর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এর পর গত ১২ অগাস্ট তাঁর শরীরে করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় মাত্রা প্রয়োগ করেন গবেষকরা। পরদিন তাঁর সামান্য জ্বর আসে বলে জানিয়েছেন এই শিক্ষক। গবেষকদের তা জানালে তাঁরা জানান, এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক। গত ২৫ অগাস্ট ফের তাঁর রক্তের নমুনা নেওয়া হয়। পরদিন সকালে তাঁকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেন সংস্থার আধিকারিকরা। বুধবারই ভুবনেশ্বর থেকে দুর্গাপুর ফিরে আসেন চিরঞ্জিত ধীবর।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে একটি ইতস্তত বোধ করেও গবেষকদের আশ্বাসে তা সম্পূর্ণ মিটে যায়। দেশ ও সভ্যতার জন্য লড়াইয়ে সামিল হতে পেরে তিনি গর্বিত বলে জানিয়েছেন চিরঞ্জিতবাবু।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম মাত্রা প্রয়োগের ১০৪ দিন ও ১৯৪ দিনের মাথায় ফের ভুবনেশ্বরে গিয়ে রক্তের নমুনা দিতে হবে তাঁকে।