ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা তোলে তৃণমূল। আরাবুলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে গিয়ে ভরা সভায় এই স্বীকারোক্তি ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার। তাঁর দাবি, আগে ঠিকাদারদের কাছ থেকে টাকা তুলে একাই পকেটে পুরতেন আরাবুল, কিন্তু এখন সেই টাকা গরিব মানুষকে ভাগ করে দিচ্ছেন তাঁরা।
ভাঙড় বিধানসভা এলাকায় ৫ হাজার কম্বল বিলি করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে তৃণমূল। সেজন্য খরচ হবে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। বৃহস্পতিবার বিজয়গঞ্জ বাজারে তেমনই এক কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে শওকত বলেন, ‘কন্টেকটারদের কাছ থেকে যে পয়সা পাওয়া যেত সেটা দু-একজন ব্যক্তি নিয়ে চলে যেত। আমরা এখন সেই টাকা গরিব মানুষের মধ্যে বিলি করছি কিছু না কিছু দিয়ে।’
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েননি বিরোধীরা। বিজেপি নেতা অবনী মণ্ডল বলেন, ‘আমরা যে বলতাম এটা কাটমানির সরকার, তা বিধায়ক স্বীকার করলেন। রাস্তার পিচ কেন উঠে যাচ্ছে, তার কারণটা এখন স্পষ্ট।’
বলে রাখি, জেলমুক্তির পর সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে দফতরে যাওয়া শুরু করেছেন ভাঙড় ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আরাবুল ইসলাম। কিন্তু তিনি জেলবন্দি থাকাকালীন তাঁর দফতর দখল করে নিয়েছে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। আরাবুলের পঞ্চায়েত সমিতিতে যাওয়া নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ভাঙড়ে।