খাবারে মিলল আস্ত মৃত কেঁচো। তাও আবার কোনও হোটেল বা রেস্তোরাঁ নয়, একেবারে সরকারি হাসপাতালের খাবারে মিলল কেঁচো।যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের। ওই হাসপাতালের শিশু বিভাগের খাবারে মৃত কেঁচো পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রোগী এবং রোগী পরিবার।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দীপক রায় গত বৃহস্পতিবার তার সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। হাসপাতালের শিশু বিভাগে রাখা হয় তার সন্তানকে। কিন্তু, শনিবার রাতে সন্তানকে খাবার খাওয়াতে গিয়ে যা দেখতে পান তাতে চক্ষু চড়কগাছ দীপক বাবুর। তিনি দেখেন খাবারে রয়েছে একটি মৃত কেঁচো। ঘটনায় অন্যান্য রোগীদের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতাল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। রোগী এবং রোগী পরিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হাসপাতালে স্থানীয় থানার পুলিশ পৌঁছয়।
এ নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন দীপক বাবু। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।’ খাবারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীরা। তাদের বক্তব্য, এখানে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আসেন। তাহলে তাদেরকেও অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়া হচ্ছে! অবিলম্বে খাবারের গুণগত মান ভালো করার দাবি জানান রোগী এবং রোগী পরিবারের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, খাবারের গুণগত মান নিয়ে এর আগেও বহু হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া সদর হাসপাতালেও অস্বাস্থ্যকর খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। হাসপাতালের ক্যান্টিন পরিদর্শন করে হাসপাতাল সুপার জানতে পারেন রোগীদের মাছের পরিবর্তে দেওয়া হচ্ছে পচা ডিম। এরপরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।