কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এবার রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্কুলের জমি বিক্রি করার অভিযোগ তুললেন। শুধু তাই নয়, এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিবিআই তদন্তে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তাঁর নিশানায় এবার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। স্কুলের জমি বিক্রি করছেন স্বপন দেবনাথ বলে অভিযোগ তাঁর। বিজেপির জেলা সভাপতিকে এই বিষয়ে সমস্ত নথি জোগাড় করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্ত। উপনির্বাচনের আবহে এমন অভিযোগ তোলায় রাজনৈতিক বাতাবরণ তপ্ত হয়ে উঠেছে। কারণ পাল্টা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবার সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সুকান্ত মজুমদার যে অভিযোগ তুলেছেন তা প্রমাণ করতে না পারলে বড় সমস্যায় পড়তে হবে। আর যদি প্রমাণ করতে পারেন তাহলে আরও একটা বড় দুর্নীতি সামনে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সুকান্ত মজুমদারের এই অভিযোগ চাউর হতেই জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। অনেকে মনে করছেন উপনির্বাচনের বৈতরণী পার হতেই এমন অভিযোগ তুলে হাওয়া গরম করছেন সুকান্ত। ইতিমধ্যেই সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। আর সুকান্ত যখন কলকাতা হাইকোর্টে যাবে বলছেন তখন স্বপন সুকান্তর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: ‘ফিশ ফ্রাই রাজনীতির মতো গন্ধ আসছে’, আবদুস সাত্তারকে উপদেষ্টা করতেই কটাক্ষ শুভেন্দুর
কিন্তু কেন এমন অভিযোগ সুকান্তর? সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দলিল ভাইরাল হয়। সেখানে উল্লেখ করা ছিল, পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার বিদ্যানগর জিডি বিদ্যামন্দিরের ৩০৭/৯৬৪ নম্বর দাগের ৪.৬ শতক জমি দান করা হয়েছে খাল বিল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিকে। ওই দলিলে সই আছে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেমন করে ওই সংস্থাকে জমি দান করতে পারে? উঠছে প্রশ্ন। যদিও খাল বিল সোসাইটির বক্তব্য, ওই জমি তারা খড়ের বিড়ে শিল্প গড়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দান করেছে। এই তথ্য সামনে আসতেই সুকান্ত অভিযোগ তোলেন।
শুধু তাই নয়, এই জমি সংক্রান্ত বিষয়ে নথি বের করতে নির্দেশ দিয়েছেন সুকান্তবাবু। আর বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, স্কুলের জমি এভাবে দান করা যায় না। আর রাজ্য সরকারকে দান করার হলে স্কুল সরাসরি সেটা করতে পারতো। বেসরকারি সংস্থা মাধ্যম হল কেন? কালনায় এসে সুকান্ত মজুমদার সরাসরি স্বপন দেবনাথের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেন। পাল্টা স্বপন দেবনাথের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি, ‘স্কুলের কোনও জায়গা বিক্রি করা হয়নি। সুকান্ত মজুমদার একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এমন কথা কীভাবে বলছেন? প্রয়োজনে ওনার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হবে।’