শীত পড়তেই রমরমা শুরু হয়েছে মধুচক্রের। কয়েক মাস আগে তা শুরু হলেও শীতে সেটা চরম আকার নিয়েছে। দফায় দফায় পুলিশ হানা দিলেও প্রথমে তেমন কোনও সাফল্য মেলেনি। এখন শীতের মরশুমে পর্যটকরা দিঘা–মন্দারমণিতে আসতে শুরু করেছে। তাঁদের টোপ দিয়ে ডেকে আনা হচ্ছে হোটেলে। যেখানে মধুচক্রের আসর বসে বলে অভিযোগ। এবার পুলিশ গোপন সূত্রে মধুচক্রের নির্দিষ্ট খবর পেয়ে হানা দিল। তাতেই একের পর এক হোটেল থেকে ধরা পড়ল মধুচক্রের। মেয়েদের নিয়ে এসে এই কাজ করার পর্দাফাঁস হয়ে গেল।
আজ, শুক্রবার পুলিশ হানা দেয় দিঘা–মন্দারমণির একের পর এক হোটেলে। পর্দাফাঁস তখনই হয়ে যায় মধুচক্রের। নিউ দিঘা থেকে শুরু করে মন্দারমণি, ওল্ড দিঘায় হানা দিতেই পর্দাফাঁস হয়ে যায় মধুচক্রের। বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় পুলিশের হানা। যা আজ শুক্রবার পর্যন্ত চলে। ওল্ড দিঘার বাইপাস সংলগ্ন এলাকার একটি স্পা সেন্টারে মধুচক্র চলছে বলে খবর পায় পুলিশ। সেখানে হানা দেয় পুলিশ। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় রয়েছে যুবক–যুবতীরা। কেউ কেউ চরম মুহূর্তে ধরা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এখানেই রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা। তার জন্য চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর ৭জন যুবতীকে উদ্ধার করে দিঘা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করলেন একনাথ শিন্ডে, চলে গেলেন গ্রামের বাড়িতে, কেন এমন ঘটল?
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায়। সমুদ্রসৈকতের পরিবেশ এভাবে খারাপ হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, যে সমস্ত যুবতীদের আটক করা হয়েছে তাঁদের কারও বাড়ি হাওড়ায়, কারও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে স্পা সেন্টারের মালিক ব্যোমকেশ পাত্র। ধরা পড়েছে দীপঙ্কর পয়ড়্যা, শুভম দেবনাথ, সুব্রত আদক। এরাই যুবতীদের কাজ দেওয়ার টোপ দিয়ে দিঘা, মন্দারমণি–সহ নানা জায়গায় নিয়ে আসত। আর মধুচক্রে সামিল করে দিত। যেখান থেকে আর বেরতে পারত না যুবতীরা। এই মধুচক্র চালানোর অভিযোগে ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে বারবারই অভিযোগ করেছিলেন, দিঘা–মন্দারমণির হোটেলে দেদার মধুচক্র চলছে। বাইরে থেকে মেয়েদের নিয়ে এসে এখানে তা চালানো হচ্ছে। কলকাতা থেকে শুরু করে বারাসত, খড়দা, ডানকুনি নানা জায়গা থেকে মেয়েরা এখানে আসছে। তারপর ত্রেতাদের দাবি অনুযায়ী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে হোটেলে। এভাবেই চলছিল মধুচক্র। এই স্পা সেন্টারের মোড়কে রমরমিয়ে চলছিল দেহব্যবসা। আর সেই খবর গোপন সূত্রে পৌঁছে যায় দিঘা থানার পুলিশের কাছে। তারপরই শুরু হয় ধরপাকড়।