খোদ বিরোধী দলনেতার জেলায় পরাজিত বিজেপি। তাও আবার উপনির্বাচনের প্রাক্কালে। পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে সমবায় সমিতির নির্বাচন হয়। সেখানে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা উপনির্বাচনে আগে অক্সিজেন দেবে শাসক দলকে। ৪৮ আসনের সমবায় সমিতির নির্বাচনে ৩৮টিতেই জয় পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থিত প্রার্থীরা। বাকি ১০টি গিয়েছে বিজেপির কাছে। লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি দুটি সাংসদ পেলেও, বিধানসভা কেন্দ্র রামনগর তৃণমূল কংগ্রেসের যথেষ্ট শক্ত ঘাঁটি। আর সেখানেই তাজপুর দক্ষিণবাড় কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস।
গতকাল শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর–২ নম্বর ব্লকের বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর সমবায়ে পরিচালকমণ্ডলীর নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনেই রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তিকে একেবারে কোণঠাসা করে দেয় শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে ৪৮টি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী দিয়েছিল ৪৫টি আসনে। সুতরাং তিনটি আসনে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে যায় ঘাসফুল শিবির। শনিবার নির্বাচনে ৩৫টিতে জয়ী হলে বিজেপি স্থান ত্যাগ করে। এই নির্বাচনের ফলাফল বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রচার করা হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার পথে মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা, একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু, রক্তাক্ত জাতীয় সড়ক
এই সমবায় নির্বাচনের সময় গোটা সমবায় সমিতির অফিস চত্বরে কড়া পুলিশের প্রহরা ছিল। ঘিরে রাখা হয়েছিল। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। একেবারে শান্তিপূর্ণ পথেই এই সমবায় নির্বাচন। আর তার ফলাফল সামনে আসতেই পদ্মশিবিরে অস্বস্তি তৈরি হয়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখানের বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত চলে যায় বিজেপির দখলে। তারপরও সমবায় নির্বাচন জিততে পারল না বিজেপি। এদিন সমবায় নির্বাচনে জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি উত্তম দাস বলেন, ‘বিজেপি যে উন্নয়ন করতে পারবে না সেটা মানুষ তা বুঝে গিয়েছেন। তাই দু’হাত ভোরে আশীর্বাদ করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জিতিয়েছেন।’
এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে ২ হাজারের উপরে ভোটার ছিল। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। তারপর গণনা শুরু হয়। কড়া পুলিশের নিরাপত্তায় ভোট গণনা শুরু হয়। এই বিষয়ে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘ওরা নিজেদের এলাকাতেই হেরে যাচ্ছে। কোথাও আবার প্রার্থীও দিতে পারছে না। বাংলায় বিজেপি ক্ষয়ে যাচ্ছে।’ পাল্টা জেলা বিজেপির সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডলের বক্তব্য, ‘আমরা লড়াই করেছি। তবে সমবায় সমিতিগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে থাকায় বেছে সদস্যপদ করিয়েছে। বিজেপি এগিয়ে থাকলেও কতগুলি গ্রাম নিয়ে সমবায় সমিতি তৈরি হয়। কয়েকটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি আছে।’