তিন কেন্দ্রে ভোটের ফল ঘোষণার হিংসা রুখতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে ভবানীপুরের উপ-নির্বাচন এবং সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে ভোট গণনার সময় বা পরে কোনওরকম বিজয় উৎসব যাতে না করা হয়, তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার ভোটগণনার শুরু থেকেই ভবানীপুর, সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রে লিড বাড়াচ্ছে তৃণমূল। ভবানীপুরে তো বিধানসভা নির্বাচনের থেকেও বড় ব্যবধানে জয় কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত সময় যাচ্ছে, লিড তত বাড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার ফলে কালীঘাটে মমতার বাড়ির সামনে, জেলার বিভিন্ন প্রান্তে দলীয় কার্যালয়ের সামনে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন তৃণমূলকর্মীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ন্যূনতম করোনাভাইরাস বিধি চোখে পড়েনি। অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। সামাজিক দূরত্ব বিধি তো নৈব নৈব চ। জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জেও সেই প্রবণতা ধরা পড়েছে।
সেই পরিস্থিতিতে যাতে কোনওরকম বিজয় উৎসব না করা হয়, তা নিশ্চিত করতে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। সেইসঙ্গে তিন কেন্দ্রের ভোটের ফল ঘোষণার পর যাতে কোনওরকম হিংসা ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেজন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি লিখে ভোট-পরবর্তী হিংসার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। পুলিশকে ভোট-পরবর্তী হিংসা রোখার নির্দেশ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুলিশকেও চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়ে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন ভবানীপুরের বিজেপি প্রার্থী। চিঠিতে টিবরেওয়াল লেখেন, 'এই উপনির্বাচনের একজন প্রার্থী হিসেবে সরকারের সব আইন শাসন সংক্রান্ত বিভাগকে যতদূর সম্ভব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে আপনাকে বিনম্র অনুরোধ জানাচ্ছি। যাতে কোনও নিরীহ নাগরিক প্রাণ না হারায়, কোনও রকম যৌন হেনস্থার অপরাধের ঘটনা না ঘটে, সাধারণ মানুষকে ঘরছাড়া না হতে হয়, কোনও হিংসাত্মক ঘটনা না ঘটে। ৩ অক্টোবর এই ঘটনাগুলি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে থাকতে পারি।'