রাতের অন্ধকারে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ইসিএলের ওভারহেড জলের ট্যাঙ্ক। ঘটনার জেরে ট্যাঙ্ক সংলগ্ন জলশোধনাগারের স্তম্ভেরও ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে জানা গিয়েছে।শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে অণ্ডালের কাজোড়া এরিয়ার পরাশকোল কোলিয়ারি এলাকায়। রবিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অণ্ডাল থানার পুলিশ ও কাজোড়া এরিয়ার আধিকারিকেরা। জলাধার ভেঙে পড়ার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে অণ্ডালে। ওই এলাকার প্রায় ৪০০ পরিবারে জলসঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে এই এলাকার একাংশে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপলাইন আছে। তাতে মাঝে মধ্যে জল পাওয়া যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
পুরনো জলাধারের রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বাম শ্রমিক সংগঠনগুলো। তাঁদের অভিযোগ, একাধিকবার তারা জলাধারটি সংস্কারের জন্য আবেদন জানালেও সংস্থা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। সমস্যা মেটাতে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।
এ প্রসঙ্গে, কাজোড়া এরিয়ার পার্সোনাল ম্যানেজার সঞ্জয় ভৌমিক বলেন, ‘শুনেছি প্রায় সাড়ে চার দশকের পুরনো পরাশকোলের এই জলাধার।’ তাঁর দাবি, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। তা ছাড়া, আগে থেকেই এটি ভেঙে নতুন একটি জলাধার তৈরির পরিকল্পনা ছিল আমাদের। তা বাস্তবায়নের আগেই এটি ভেঙে পড়ল। তাঁর আরও দাবি, রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলেই প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। দিনের বেলায় এই ঘটনা ঘটলে, অনেক মানুষ হতাহত হতে পারেতন। কারণ, সকাল বেলায় এই ট্যাঙ্কের নীচে দিয়ে এলাকার বহু লোকজন যাতাযাত করেন।
রাতে আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে প্রকাণ্ড ওভারহেডের জরাজীর্ণ জলের ট্যাঙ্কটি।ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ লক্ষ ২২ হাজার গ্যালন জলধারণের ক্ষমতা ছিল এই ট্যাঙ্কের। স্থানীয়দের দাবি, এই জলের ট্যাঙ্কের রক্ষণাবেক্ষণ হত না। শুধু তাই নয়, ট্যাঙ্ক চত্বরে কোনও নিরাপত্তারক্ষীও থাকতেন না। তবে ওই ট্যাঙ্ক লাগোয়া জলশোধনাগারে এক জন করে কর্মী শিফটিং ডিউটিতে কাজ করলেও রাতে সেখানেও কেউ থাকেন না।
জানা গিয়েছে, এই জলের ট্যাঙ্কটি পরাশকোল ও বহুলার সংযোগকারী রাস্তা থেকে প্রায় ১০০ ফুট দূরে ছিল। এই ট্যাঙ্কের মাধ্যমে পরাশকোল কলোনি, অফিসার্স কলোনি-সহ লাগোয়া পরাশকোলডাঙা ও পরাশকোল গ্রামের একাংশে জল সরবরাহ করা হত।