গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। তারপরেই দুজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর মধ্যে একজনের বাড়ি বেলঘড়িয়ায়, অন্যজনের বাড়ি হাওড়ায়। এই দুজনকে সাইবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের নাম হল রমেশ প্রসাদ বারওয়াল এবং মহম্মদ হোসেন। ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিকদের প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে এই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৩০০০ জনের সঙ্গে প্রতারণা! ভুয়ো কলসেন্টার মামলায় ইন্টারপোলের সাহায্য নিল CID
বৃহস্পতিবার বাংলার যে তিনটি জায়গায় ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল সেগুলি হল-উত্তর ২৪ পরগনা বেলঘড়িয়া, হাওড়ার সালকিয়ার শ্রীরাম ঢ্যাং রোড এবং লিলুয়ার চক পাড়া। এর মধ্যে রমেশকে গ্রেফতার করা হয় বেলঘড়িয়া থেকে এবং হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল সালকিয়া থেকে। এছাড়া মনোজ দুবে নামে আরও এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। জানা গিয়েছে, ধৃতেরা একটি ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে বিদেশি নাগরিক বিশেষ করে আয়ারল্যান্ড নাগরিকদের সঙ্গে সাইবার প্রতারণা করত। এর জন্য খড়গপুরে একটি ভুয়ো কল সেন্টার তৈরি করা হয়েছিল। এই প্রতারণা চক্রটি পাটনার একটি প্রতারণা চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সাইবার অপরাধ চালাত। প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকায় বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেই সূত্রে বৃহস্পতিবার রাজ্যের তিন জায়গায় হানা দিয়ে ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
ধৃতেরা কীভাবে প্রতারণা চালাত? কত জনের সঙ্গে প্রতারণা করেছে? সেই সমস্ত বিষয় জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এছাড়াও এই প্রতারণার সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত? সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন শহরে মাথা চারা দিয়ে উঠেছে ভুয়ো কল সেন্টার। তার মাধ্যমে মূলত টেক সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে বিদেশি নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু ভুয়ো কলসেন্টারে পর্দা ফাঁস করেছে কলকাতা পুলিশ থেকে শুরু করে রাজ্য পুলিশ। এদিকে, গতকাল কয়লা কাণ্ডে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।ধৃতদের শুক্রবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয়। জানা যাচ্ছে, ধৃতরা ইসিএলের আধিকারিক।