কয়লা পাচারকাণ্ডে সোমবার সকালে একযোগে রাজ্যের ১২ টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। গড়িয়া, বাঙুর, কোন্নগরের মতো বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে তল্লাশি চলছে। সূত্রের খবর, কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যে একদফায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)।
সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ গড়িয়ায় নারকেল বাগানের কাছে বিশ্বজিৎ মালাকার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে অভিযান চালায় ইডির একটি দল। তবে তখন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। সূত্রের খবর, বিশ্বজিতের বাবা ইসিএলের কর্মী। কয়েকদিনের মধ্যে তাঁর চাকরি জীবন শেষ হবে। দুবাইয়ে ব্যবসা আছে বিশ্বজিতের। সেই ব্যবসার মাধ্যমে কয়লা পাচারের টাকা লেনদেন করা হত বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। বিশ্বজিতের প্রতিবেশিরা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যে গড়িয়ার ফ্ল্যাটে আসতেন তাঁরা। তবে কারও সঙ্গে সেভাবে মেলামেশা ছিল না। নিজেদের মতো থাকতেন। পুজোর সময় শেষবার বাড়িতে এসেছিলেন। কালীপুজোর থেকেই মালাকারদের বাড়ি তালাবন্ধ হয়ে পড়ে আছে। ইতিমধ্যে আয়কর দফতর এবং সিবিআই অভিযান চালিয়েছিল।
গড়িয়ায় অভিযানের সময় লেকটাউনের বাঙুর অ্যাভিনিউয়ে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় ইডির অপর একটি দল। লেকটাউনে বাগাড়িয়ার তিনটি বাড়ি আছে। সেখানেও অবশ্য কারও হদিশ পাননি ইডির কর্তারা। বাড়ির গেটে তালা ঝুলছিল। গত ২২ ডিসেম্বর সেই বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। একইসঙ্গে কোন্নগর, রানিগঞ্জ, আসানসোলের মতো জায়গায় তল্লাশি চলছে বলে সূত্রের খবর। কোন্নগরে অমিত সিং এবং নীরজ সিং বাড়িতে আগে সিবিআই অভিযান চালিয়েছিল। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল বিভিন্ন সরঞ্জাম।