লোকসভা ভোট মিটতেই ফের তৎপর হয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুক্রবারও রাজ্যে হানা দিল ইডি। এদিন রানিগঞ্জের এক শিল্পপতির বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায়। তাদের সঙ্গে উপস্থিত ছিল প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনী। যদিও কী কারণে শিল্পপতির বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে জানা যাচ্ছে, রানিগঞ্জের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশেও এদিন তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা।
আরও পড়ুন: উদ্ধার ৩২ কোটি নগদ টাকা, ইডির হাতে গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব
এদিন আসানসোলের রানিগঞ্জ শিশু বাগান মোড় সংলগ্ন এনএসবি রোডের পাশে অবস্থিত যে বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থা তল্লাশি অভিযান চালায় সেই বাড়িটি হল শিল্পপতি চণ্ডী কেডিয়ার। তিনি লোহার কারবারের সঙ্গে যুক্ত। জানা গিয়েছে, চণ্ডী কেডিয়ার পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় কয়েকটি লোহার কারখানা রয়েছে। সেখানে লোহার রড তৈরি করা হয়। আজ সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। ৪ টি গাড়িতে করে আসে ইডির একটি বিশেষ দল। ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই ভোর ৫ টা নাগাদ শিল্পপতির বাড়িতে এসে হাজির হন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। একইসঙ্গে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য প্রচুর কেন্দ্রীয় বাহিনীও ছিল ইডির সঙ্গে।
পড়ুনঃ কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় হেমন্ত সোরেনের মিডিয়া উপদেষ্টার বাড়িতে ED-র তল্লাশি
জানা যাচ্ছে, ইডি আধিকারিকরা শিল্পপতির বাড়িতে ঢোকার পর তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। যদিও ইডি হানার কারণ অস্পষ্ট। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, লৌহ কেলেঙ্কারিতে জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি চালানোর উদ্দেশ্যেই এদিন শিল্পপতির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ওই শিল্পপতির ব্যবসা উত্তর প্রদেশেও রয়েছে। তবে সেখানে ইডির আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন কি না তা জানা যায়নি। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং শিল্পপতিদের মধ্যে। উল্লেখ্য, এর আগের দিন গেমিং অ্যাপ কেলেঙ্কারিতে বাংলায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল ইডি। হাওড়ার সালকিয়া, লিলুয়া এবং উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়াতে হানা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই ঘটনায় প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপরের দিন ফের রাজ্যে ইডি অব্যাহত থাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।