দীর্ঘদিন ধরে অধরা সন্দেশখালির 'বাঘ' শেখ শাহজাহান। তবে সম্প্রতি তাঁকে আরও একবার তলব করেছে ইডি। এদিকে কলকাতা হাই কোর্টও সন্দেশখালি কাণ্ডে কড়া কড়া পর্যবেক্ষণ করেছে। তৃণমূলের 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে মন্তব্য করেছেন, 'শাহজাহানকে গ্রেফতারের ক্ষমতা আছে রাজ্য পুলিশের'। এই সবের মাঝেই এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে নয়া মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে ইডি। শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে খুন ও জমি দখলের অভিযোগ ছিল, সেই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই একটি ইএসআইআর দায়ের করেছে ইডি। সেই মামলাতেই আজ সকাল থেকে কলকাতার জায়গায় জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি। (আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে বাংলায় ৫টি আসন ছাড়তে পারে তৃণমূল, ফের দুই দলের আলোচনা শুরু: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: হাইওয়েতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে দামী বিলাসবহুল গাড়ি, মৃত্যু ৩৭ বছর বয়সি বিধায়কের
তিলোত্তমা ছাড়াও হাওড়া, বিজয়গড় সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চলছে। জানা গিয়েছে, মোট ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে সকাল থেকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, 'শাহজাহান ঘনিষ্ঠ' হিসেবে পরিচিত বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে ইডি অভিযান চালাচ্ছে। মধ্য হাওড়ায় পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। এছাড়া বিজয়গড়ে ১০ নম্বর পুকুর এলাকায় অরুপ সোম নামক এক প্রাক্তন সরকারি কর্মীর বাড়িতেও তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। এদিকে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে। এর আগেও তিনবার শাহজাহানকে তলব করেছিল ইডি। তবে সেই হাজিরা এড়িয়েছিল শাহজাহান। তৃণমূল নেতার বাড়িতেও গিয়ে তাকে ধরতে পারেনি ইডি। এবার ভিন্ন ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। শাহজাহান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে জমি জবরদখল করে ভেড়ি বানানো, মুরগির খামার বানানোর অভিযোগ ওঠে। সেই সব মামলায় অর্থ তছরুপের দিকটি খতিয়ে দেখতেই এই তদন্ত শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট।
উল্লেখ্য, বিগত ৫ জানুয়ারি থেকে শাহজাহানের খোঁজ চলছে। তবে তিনি আজও অধরা। এরই মাঝে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এই আবহে এখন রাজ্য রাজনীতির সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় সন্দেশখালি। প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতির তদন্তে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়েছিল ইডি। সেখানে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। কয়েকদিন পরই সন্দেশখালিতে শাহজাহান, তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হয়। সেই শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে সন্ত্রাসের রাজ চালানোর অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মারধর, হুমকি, অত্যাচার, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিল শাহজাহান বাহিনী। পরবর্তীতে উত্তম এবং শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে শাহজাহান এখনও অধরা।