সম্প্রতি একাদশ, দ্বাদশের পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য টাকা পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু স্কুল কতজন পড়ুয়া ট্যাব কেনার টাকা পেয়েছে, সেই সংক্রান্ত তালিকা দেয়নি। এই অবস্থায় আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই অবিলম্বে সেই তালিকা প্রধান শিক্ষকদের জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেক্ষেত্রে তালিকা জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হ্যাক হল বাংলার শিক্ষা ওয়েবসাইট, পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার ৭ লক্ষ টাকা গায়েব
শিক্ষা দফতরের নির্দেশে বলা হয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্য স্কুলপরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির পর ৫ নভেম্বর স্কুল খুলছে। তার আগেই এই সংক্রান্ত তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলে একাদশ, দ্বাদশের মোট পড়ুয়ার সংখ্যা কত? এর মধ্যে কতজন ট্যাবের টাকা পেয়েছে? কতজন পায়নি? বাংলা শিক্ষা পোর্টালে কতজনের নাম তুলতে সমস্যা হয়েছে? সেই সমস্ত তথ্য স্কুল পরিদর্শকের কাছে দিতে বলা হয়েছে। আর এই সময়ের মধ্যে তথ্য না দিলে সেক্ষেত্রে ছুটির পর সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হতে পারে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেই সাইবার জালিয়াতির ঘটনায় ট্যাবের টাকা উধাও করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৪টি স্কুলে। অভিযোগ, ওই স্কুলগুলির অনেকেই টাকা পাননি। তদন্তে নেমে জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, ওই ৪টি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া মোট ৭০ জন ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর হ্যাক করে টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে। এরফলে ফলে সরকার ট্যাবের টাকা পাঠালেও প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে তা চলে গিয়েছে। এর পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে রাজ্য শিক্ষা দফতর। সেই কারণেই সবকিছু ঠিকঠাক আছে কি না তা খতিয়ে দেখতেই এইসব তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও, যে সব স্কুলের পড়ুয়ারা এই সাইবার জালিয়াতির শিকার হয়েছেন সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে নির্দিষ্ট থানায় গিয়ে এফআইআর অথবা জেনারেল ডায়েরি করতে বলা হয়েছে। সেই এফআইআর বা জিডির প্রতিলিপি জেলা স্কুল পরিদর্শকে দ্রুত পাঠাতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এদিকে, বেশ কিছু স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা এনিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, এই বিষয়টি দেখার জন্য একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাই এভাবে প্রধান শিক্ষকের উপর দায় চাপানো ঠিক নয়।