নদীয়ার বহু প্রাচীন কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের দুই শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষা দফতর। ঘটনায় তদন্ত করে শিক্ষা দফতর দুই শিক্ষকেরই দোষ খুঁজে পেয়েছে। তার ভিত্তিতে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া স্কুলের দুই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। দুজনকেই শোকজের জবাব দিতে বলেছে শিক্ষা দফতর।
আজ বৃহস্পতিবার থেকে খুলেছে স্কুল। তার আগের দিনই নদীয়ার সবচেয়ে প্রাচীন স্কুলের খোদ শিক্ষকরা হতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঢেউ উঠে এসেছে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোরঞ্জন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে প্রধান শিক্ষকের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হয়। তাদের কাগজপত্র আটকে রাখা হয়। শুধু তাই নয় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বদলি করে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয় ।
ওই স্কুলের ভূগোলের শিক্ষক নিমাই মজুমদারের অভিযোগ, কিছু প্রয়োজনীয় নথি দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের কাছে চেয়েও তিনি কিছুতেই পাচ্ছিলেন না। তারই প্রতিবাদে বুধবার পোস্টার নিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ বসে পড়েন ওই শিক্ষক।
অভিযোগ, সেই সময় প্রধান শিক্ষক তাঁর ওপর চড়াও হয়। ঘটনায় স্কুলের ভিতরেই দুই শিক্ষক হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই মারামারির ভিডিয়ো। প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকরা যদি এভাবে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তাদের দেখে কি শিখবে ছাত্রছাত্রীরা? বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করে শিক্ষা দফতর।