পাকিস্তানকে অনুকরণ করে অমিত মিত্রকে জোড়া উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এমনই দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মঙ্গলবার টুইটারে শুভেন্দু বলেন, ‘নেহাত কাকতলীয় নাকি অনুপ্রেরণা নেওয়া হচ্ছে? পাকিস্তানের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী শওকত তারিনকে প্রধানমন্ত্রীর (ইমরান খান) উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করার কয়েকদিন পরেই অমিত মিত্রকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করে পাকিস্তানকে অনুকরণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ। দু'জনেই অর্থমন্ত্রী ছিলেন। দু'জনেরই সাংবিধানিক মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল।’
শুভেন্দুর সেই টুইটের কয়েক ঘণ্টা আগেই নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থ দফতরের প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে অমিতকে নিয়োগ করা হয়েছে। যিনি এবার শারীরিক কারণে বিধানসভা ভোটে লড়াই করেননি। তবে তৃতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের আমলে তাঁকেই অর্থমন্ত্রী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে জানিয়েছিলেন, অমিতের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের জন্য বিধান পরিষদ তৈরি করা হবে। শেষপর্যন্ত অবশ্য বিধান পরিষদ গঠিত হয়নি। ভোটেও লড়েননি অমিত। সংবিধান অনুযায়ী, ভোটে না জিতে সর্বোচ্চ ছ'মাস মন্ত্রী থাকা যায়। সেই নিয়মের কারণেই অর্থমন্ত্রী থাকতে পারছেন না অমিত। তবে নিজের 'ভরসার' অমিতকে অর্থ দফতরেই রেখেছেন মমতা। নিজের হাতে অর্থ দফতর রেখে অমিতকে ক্যাবিনেট পদমর্যাদার জোড়া উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন। সেইসঙ্গে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
অন্যদিকে, শুভেন্দু যে শওকতের কথা বলেছেন, তাঁকে গত মাসে অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছে পাকিস্তান সরকার। পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদা দিয়েছেন ইমরান। চলতি বছর ১৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী হয়েছিলেন শওকত। কিন্তু ছ'মাসে জিতে আসতে না পারায় গত ১৬ অক্টোবর তাঁর মেয়াদ হয়ে যায়। তারপরই তাঁকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছে ইমরান সরকার।