এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডের দু’দিনের মধ্যেই ওড়িশার কটক থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুকে। বিস্ফোরণে নিজেও জখম হয়েছিলেন ভানু। এই আবহে কটকের হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় গতকাল রাতে। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে অমরনাথ ভানুর মৃত্যুর খবর সত্যি বলে জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, কটকের রুদ্র হাসপাতালে গতরাত ২টো নাগাদ মারা যান ভানু। উল্লেখ্য, বিস্ফোরণের পর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় হাসপাতালেই ভরতি রাখা হয়েছিল তাঁকে। (Madhyamik Result 2023 Live Updates: মাধ্যমিকের ফলাফলের লাইভ আপডেট দেখুন এখানে)
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বাজি কারখানায় বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ৯ জন। জানা যায়, সেই কারখানায় বেআইনি ভাবে বাজি তৈরি করা হত। এর জেরে এই বিস্ফোরণ নিয়ে যখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় শুরু হয়। এদিকে এই বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিলেন ভানু। বিস্ফোরণে জখম হয়েছিলেন তিনিও। তবে সেই অবস্থাতেই রাজ্য ছেড়ে ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই গতকাল ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয় ভানু বাগ ও তাঁর ছেলে পৃথ্বীজিৎ বাগকে। সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছিল ভানুর ভাইপোকেও। ওড়িশা পুলিশের নজরদারিতে হাসপাতালেই ছিলেন ভানু। সুস্থ হলেই ট্রানজিট রিমান্ডে ভানুকে বাংলায় আনার পরিকল্পনা ছিল সিআইডির।
এর আগে বুধবার এগরা বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু'জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ধৃত দু’জনের নাম দেবসুন্দর জানা ও তপন দেবনাথ। ধৃত দু’জন বারুদ সংগ্রহ করে নিয়ে আসত। আর তা তুলে দিত ভানুর হাতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভানুর সঙ্গে পুলিশের যোগসাজশ ছিল। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই ঘটনায় এগরা থানার আইসিকে শোকজ করা হয়। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে সিপিএম করত। তারপর সরকার পরিবর্তন হলে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তবে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, ২০১৮ পর্যন্ত ভানু বাগ তাদের দল করলেও এখন সে বিজেপি করে। এদিকে হাই কোর্টেও গড়িয়েছে এই মামলার জল। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত করলেও এনআইএ আইনে সেই তদন্তের সব রিপোর্ট পাঠাতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তবে এসবের মাঝেই মূল অভিযুক্ত ভানুর মৃত্যু হল ভিনরাজ্যে।