এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে আজ, বুধবার কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু বাগের স্ত্রীকে গ্রেফতার করল সিআইডি। এগরায় বিস্ফোরণের পর গোটা পরিবার গা–ঢাকা দেয় ওড়িশায়। সেখানেই চিকিৎসা শুরু হয় ভানুর। কিন্তু সিআইডি তাকে ধরে ফেলে। তবে ভানু চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায়। তারপরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ভানুর স্ত্রীর। যিনি ভানুকে নিয়ে ওড়িশা পালিয়েছিলেন। তারপর সেখান থেকে গোপনে রাতের অন্ধকারে রামনগরে চলে আসেন ভানুর স্ত্রী। এবার তাঁকে গ্রেফতার করা হল। জারি আছে তদন্ত।
কেন রামনগরে ভানুর স্ত্রী? সিআইডি সূত্রে খবর, এগরা বিস্ফোরণের পর ওড়িশা পাড়ি দিলেও সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে ভাইয়ের বাড়িতে চলে আসেন তিনি। আর এখানেই লুকিয়ে ছিলেন ভানুর স্ত্রী গীতারানি। আজ, বুধবার ভোরে এখান থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে সিআইডি টিম। এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু হয় কটকের নার্সিংহোমে। সেখানে গিয়েছিলেন ভানুর স্ত্রী গীতারানি। তবে আগেই গ্রেফতার হয়েছিল ভানুর ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ। ভানুর আরও দুই ভাইপোর খোঁজ চলছে। গোটা ঘটনার তদন্ত এখনও থামেনি। তাই জেরা করা হবে ভানুর স্ত্রীকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। তার জেরে প্রাণ হারান ১২ জন। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রথম থেকেই নাম উঠে আসে ভানু ও তার স্ত্রী গীতা বাগের। কারণ ভানুকে নিয়ে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মোটরবাইকে চড়ে তারা গা–ঢাকা দিয়েছিল। ওড়িশার বালেশ্বরে তাদের আর একটি বাড়ি রয়েছে। তবে বিস্ফোরণে ভানুর শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশ অংশ পুড়ে যায়। তাই তাকে ভর্তি করা হয় কটকের হাসপাতালে। তখনও ওড়িশায় উপস্থিত ছিলেন গীতা বাগ। তারপর ভানু মারা যেতে তার দেহ সিআইডি এই রাজ্যে নিয়ে আসে। আর তখন থেকেই ভানুর স্ত্রীর কোনও খোঁজ মিলছিল না গীতার।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন গীতা বাগও। তবে তাঁর আঘাত গুরুতর নয়। তাই নিজের ভাইয়ের বাড়িতেই গা–ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে খোঁজ করা হচ্ছিল ভানুর স্ত্রীর গীতার। কারণ এই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে গেলে তাঁর বয়ান অত্যন্ত জরুরি। যেহেতু ভানুর সঙ্গে সর্বক্ষণ ছিলেন স্ত্রী গীতা, তাই তিনি গোটা ঘটনাটি জানেন। তদন্তের স্বার্থে তাঁর অত্যন্ত প্রয়োজন। আজ ভোর রাতে গ্রেফতার হন গীতারানি বাগ। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় ভানু ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন তাঁর পুত্র ও ভাগ্নে।