এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে বিরোধী দলনেতা হাওয়া গরম করেছিলেন। এনআইএ তদন্ত চেয়েছিলেন। যা নিয়ে মামলা করতেই খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর আজ বৃহস্পতিবার এই বিস্ফোরণ কাণ্ডের চাঁই কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানুকে ওড়িশার কটক থেকে। বিজেপি এই ভানুকে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছে। এবার এই বিস্ফোরণের দায় অধিকারী পরিবারের কাঁধেই পাল্টা চাপিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর নানা তথ্য সামনে নিয়ে এসে তুলোধনা করলেন বিজেপিকে।
ঠিক কী বলেছেন কুণাল ঘোষ? এগরা কাণ্ড নিয়ে এখন রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে। বিজেপি এই ভানু বাগকে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য বলে দাবি করেছে। পাল্টা এই ভানু শুভেন্দুর হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসে এসেছিল বলে দাবি উঠতে শুরু করেছে। এগরা শুভেন্দু অধিকারীর জেলার মধ্যেই পড়ে। তাই তাঁর যোগসাজশ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার দায় অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের।’ এমনকী আজ কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রও বলেন, ‘বলছে ওর লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছা়ড়া বাজি কারখানা চলে কী করে? তার উত্তর আমি দেব না শুভেন্দু দেবে? ২০০৫ থেকে গোটা মেদিনীপুর শুভেন্দু–শিশির দেখছে।’
কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী কেন? ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে এখানে যাঁরা কাজ করতেন তাঁদের ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড ছিল। কিন্তু কাজ করেও তাঁরা টাকা পাননি। কারণ এই টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বাধ্য হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন কাজ করতে হচ্ছিল। সংসার টানতে গিয়ে এই কাজ করতে হচ্ছিল। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে আজ কুণাল বলেন, ‘এগরার ঘটনার জন্য আগাগোড়া প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিজেপি সরকার দায়ী। কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে আমরা বলছিলাম বহুদিন ধরে। এবার কার্যক্ষেত্রে তার কতটা প্রভাব পড়ছে, এই ঘটনা তার প্রমাণ। পয়সার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাজি কারখানায় কাজ করছে মানুষ। যা দুঃখের।’
আর কী বলছেন দলের মুখপাত্র? অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করা হয়েছে। মানুষের প্রাপ্য না দেওয়ায় এগরা বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই বিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওখানকার এমপি কে? দিলীপ ঘোষ। পঞ্চায়েত সদস্য কে? ঘটনার পিছনে যার নাম শোনা যাচ্ছে ভানু বাগ। তিনি আগে সিপিএম ছিলেন। পরে শুভেন্দু অধিকারীর ছায়ায় তৃণমূলে এসেছেন। ওখানে নমিনেশন কে দিত? ঘটনার দায় অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের।’