সমবায় নির্বাচনে ঘাসফুল ঝড় বিরোধী দলনেতার গড়ে। নন্দীগ্রাম–এগরায় সমবায় নির্বাচনে ব্যাপক জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেখানে ধরাশায়ী হল বিজেপি। এই ঘটনায় অনেকটা অক্সিজেন পেল শাসকদল। কারণ এখানেও প্রচার করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা। কিন্তু ওই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতিকে মেশাতে চাননি ভোটাররা। যার ফলে দুটি জায়গাতেই জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে চন্দননগর আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচন হয়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জিতে নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এগরা–১ ব্লকের রামকৃষ্ণ সমবায় সমিতিতে মোট ৩৮টি আসন রয়েছে। রবিবার রাতে ফল ঘোষণার পর দেখা যায় সেখানে ঘাসফুলের দাপট।
কয়েকমাস আগেই লোকসভা নির্বাচন হয়েছে। তাতে তমলুক লোকসভা আসনে জয় পায় বিজেপি। এবার সমবায় নির্বাচনে জিতে নন্দীগ্রামে বাড়তি অক্সিজেন পেল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করা হচ্ছে। এগরার রামকৃষ্ণ সমবায় সমিতিতে মোট ৩৮টি আসনের মধ্যে ৩০টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। আর নন্দীগ্রামেও চন্দননগর আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোনও ইস্যুই এখানে কাজ করেনি। হলদিয়া আরবান কো–অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির সমবায় নির্বাচনে জয়ের পর নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে চন্দননগর আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: নদী থেকে উদ্ধার নার্সের দেহ, ধর্ষণ করে কি খুন? বহরমপুরে চারদিন পর খোঁজ মিলল
রবিবার নন্দীগ্রামের এই সমবায়ের নির্বাচন হয়। এখানে মোট আসন ছিল ১২টি। ১২টির মধ্যে ৭টি আসন জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর পাঁচটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থীরা হলেন— কৌস্তুভ কান্তি দাস, হরেকৃষ্ণ সাউ, দেবব্রত ভট্টাচার্য, অরবিন্দ মাজি, মৌসুমী পানি, ধাত্রী জানা এবং দীপ্তি রানী পাত্র। আর এগরায় ৩৮টি আসনের সমবায় নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৮৬৪ জন। প্রার্থী ছিলেন ৮৬ জন, ৬টি নির্বাচনী ক্ষেত্র। রবিবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এখানে নির্বাচন হয়। তারপর ফলাফল প্রকাশ হতেই দেখা যায় এগরার নির্বাচনে ৩০টি আসনেই জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা। আর বিজেপির দখলে ৫টি আসন। শেষে বামেদের দখলে ৩টি আসন।
এছাড়া চূড়ান্ত ফলাফল সামনে আসতেই আবির খেলা শুরু হয়ে যায়। এই ঘটনার পর এগরার বিধায়ক তরুণ মাইতি বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে আছে। লড়াইয়ের ময়দানেও আছে। সেটা আবার প্রমাণিত হল।’ আর নন্দীগ্রামের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শামসুল ইসলামের বক্তব্য, ‘বিজেপির সাম্প্রদায়িক উস্কানি, উন্নয়নের নামে ধাপ্পাবাজি খায়নি এলাকার মানুষ। লোকসভা নির্বাচনের পরে নন্দীগ্রাম এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে পিছনে ফেলে এগিয়েছে। চন্দননগর–আকন্দবাড়ি সমবায় কৃষি উন্নয়ন ভোটে সেটা প্রমাণ হল। বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন এলাকার মানুষ।’