নির্বাচন বাংলায় এখন নেই। তবে ২০২৬ সালে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তাই ভোটার তালিকায় নাম তোলা থেকে সংশোধন করার কাজ হচ্ছে। অনেকটা কাজ হয়েও গিয়েছে। আর তাই সেইসব ভোটার কার্ড ছেপে চলে এসেছে। তার পর পোস্ট অফিসে সেগুলি পড়ে রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর। কারণ সেখানে পাঠানো হয়েছে ভোটার কার্ড। এখন অভিযোগ উঠেছে, আড়াই লক্ষের বেশি ভোটার কার্ড এখনও পড়ে আছে নানা পোস্ট অফিসে। যা সংশ্লিষ্ট ভোটার পাননি। ভোটারদের ওই ভোটার কার্ড নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠানোই হয়নি। এই তথ্য সামনে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
একদিকে পোস্ট অফিস কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। তার উপর নির্বাচন কমিশনও সেই কেন্দ্রের অন্তর্গত স্বশাসিত সংস্থা। অপরদিকে ভোটার কার্ড জনগণের একটা পরিচয়–পত্র। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কার্ড। যা দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে সামিল হওয়া যায়। সেখানে ভোটার কার্ড ছেপে আসার পরও ডাকঘরে পড়ে রয়েছে। যা গাফিলতি বলে মনে করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। সুতরাং কবে এই ভোটাররা ভোটার কার্ড হাতে পাবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। যাতে দ্রুত ভোটার কার্ড পৌঁছয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: আইএসএস পরীক্ষায় বাংলার দুই ছাত্র প্রথম–দ্বিতীয়, এল ন্যাকের স্বীকৃতি, এক্স হ্যান্ডেলে উচ্ছ্বসিত মমতা
শুধু শহরে নয় একাধিক জেলায় নানা ডাকঘরে তা পড়ে আছে। আর ডাকঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্রুত ভোটার কার্ডগুলি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। হাতে এখনও নয়া কার্ড মেলেনি এমন ভোটার আছে প্রায় আড়াই লক্ষ। আর তা না পাওয়ার জেরে কারও পাসপোর্ট, কারও ব্যাঙ্কের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারছেন না। আটকে আছে নানা সরকারি কাজ। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, ছাপাখানা থেকে ভোটার কার্ড আসার পর সেগুলি জেলাশাসক বা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের অফিস থেকে সোজা পোস্ট অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ভোটারদের ঠিকানায় সেগুলি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই কাজ এখনও বাকি আছে।
এমন পরিস্থিতিতে ভোটাররা চিন্তায় আছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার কার্ড মিলবে তো? এই প্রশ্নও করছেন অনেকে। অনেক জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে, ভোটারদের এই এপিক কার্ড পেতে প্রায় দেড় মাস সময় লেগে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ নানা অফিসে গিয়ে ভোটার কার্ড কবে মিলবে? তার খোঁজ করতে শুরু করেছেন। জলপাইগুড়ি, মালদা, নদিয়া–সহ একাধিক জেলায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, কবে ভোটাররা এপিক কার্ড হাতে পান।