বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক বাংলার জেলাশাসকরা যে ভাল কাজ করেছে এবার সেটা সামনে চলে এল। কারণ চারজন জেলাশাসককে পুরষ্কৃত করেছে খোদ নির্বাচন কমিশন। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনে কোনও কারচুপি, ছাপ্পা, সংঘর্ষ আর ধোপে টিকল না। বাংলায় কোনও নির্বাচন হলেই অভিযোগ তোলে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেস ভোটে সন্ত্রাস, ছাপ্পা দিয়ে জিতেছে বলে থাকেন বিরোধী দলগুলির নেতারা। এবার তা আর মান্যতা পেল না। স্বাভাবিকভাবেই খুশি তৃণমূল কংগ্রেস।
বারবারই দেখা গিয়েছে, নির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলের নেতারা। এমনকী রিগিংয়ের অভিযোগও তুলতে দেখা গিয়েছে। স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও নির্বাচনে অশান্তির অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে বারবার। সেখানে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বারবারই দাবি করে এসেছে, বাংলার মতো নির্বিঘ্নে ভোট দেশের অন্যান্য রাজ্যেও হয়নি। তা মানতে নারাজ বিরোধীরা। আর এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি পেল বাংলা। সেটা হল— ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাল কাজের জন্য পুরষ্কৃত করা হল বাংলার চার জেলাশাসককে।
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঘোষ–পার্থপ্রতিম রায় কি বিজেপির লোক? উদয়ন গুহের মন্তব্যে তোলপাড়
কোন চার জেলার জেলাশাসক পুরষ্কৃত? নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসককে পুরষ্কৃত করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এখানে উল্লেখযোগ্য হল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে রেকর্ড ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পর বলা হয়েছিল রিগিংয়ের কথা। কিন্তু শনিবার জাতীয় ভোটার দিবসে এই চারজন জেলাশাসককে পুরস্কৃত করা হল। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকা সংশোধন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অভিনব প্রচার কৌশলের জন্যই তাঁদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে। সুতরাং ভোট সংক্রান্ত কাজে এই জেলাশাসকদের কাজে সন্তুষ্ট জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
এই চারজন জেলাশাসক কারা? নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নমবলম, বাঁকুড়ার জেলাশাসক সিয়াদ এন ভোটার তালিকা ত্রুটিমুক্ত করার জন্য পুরষ্কৃত হয়েছেন। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত এবং জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শামা পরভিন ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে বুথমুখী করার কাজের জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ–সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার একান্ত সাক্ষাৎকারে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা ডিজিটালকে বলেন, ‘এখানের নির্বাচনের সময় সবচেয়ে বেশি কটূক্তি করেছিল বিরোধী দল বিজেপি এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর আজকের এই ঘটনা প্রমাণ করল তাঁর কথার সঙ্গে বাস্তব সত্যের একেবারেই মিল নেই।’