রাজ্য–রাজনীতিতে এখন চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে সাগরদিঘি উপনির্বাচন। কারণ এই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের সাতদিন আগেই বন্ধ করে দিতে হবে প্রচার। এমনই নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনের জন্য পরীক্ষার সূচি বদলে গিয়েছে। তবে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে সাগরদিঘি উপনির্বাচনের প্রচারে রাশ টানল নির্বাচন কমিশন।
কেমন রাশ টানা হবে? সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তারকা প্রচার হওয়ার কথা। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপি কেউই বাদ যাচ্ছে না তারকা প্রচার থেকে। মিমি–নুসরত থেকে লকেট–রুদ্রনীল সাড়া ফেলে দেবেন এখানে। সেখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ২০ ফেরুয়ারি সকাল ১০টার পর আর মাইক বাজিয়ে প্রচার বা মিটিং–মিছিল করা যাবে না। এই ঘোষণায় রাজনৈতিক দলগুলি খুশি না হলেও মেনে নিতে হচ্ছে। কারণ নির্বাচন কমিশনই যে কোনও নির্বাচনের ক্ষেত্রে শেষ কথা। সেখানে এই সাতদিন আগে প্রচার বন্ধ করে কার্যত ভিলেন কমিশন।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই উপনির্বাচন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে। ফলে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। তাই বাড়তি প্রচারের কৌশল নিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। সেখানে নির্বাচন কমিশন রাশ টেনে ধরেছে বলে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন সুব্রত সাহা। তিনি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হন তিনি। তাই আসনটি ফাঁকা হয়ে যায়। সেখানে উপনির্বাচন হবে ২৭ ফ্রেরুয়ারি।
মাধ্যমিক পরীক্ষা ঠিক কবে? এদিকে আগামী ২৩ ফ্রেরুয়ারি থেকে শুরু হবে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। যা চলবে ৪ মার্চ পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৭২ আগে থেকে রাজ্যের সর্বত্রই মাইক বাজানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেখানে উপনির্বাচনের সাতদিন আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। তবে ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে কোনও বাধা নেই। অন্যদিকে এই প্রচার নিয়ে দু’দিন আগেই নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী। সরাসরি জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। তারপরই এল এমন নির্দেশিকা। কমে গেল প্রচারের সময়। কিছুদিন আগে সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনের জন্য মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষার দিন বদল করা হয়। কারণ যেদিন ভোট, সেদিনই পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সেই পরীক্ষা হবে ১ মার্চ।