NRC-র গুজবে যখন কাগজ সামলাতে ব্যস্ত অনেকেই তখন এক ব্যক্তির ব্যাঙ্কের পাশবই ও আধার কার্ড খেয়ে গেল হাতি। অবাক এই ঘটনা জলপাইগুড়ির আমবাড়ির শিমুলগুড়ি গ্রামের। ঘটনার জেরে মহা বিপদে পড়েছেন ফিরা ওঁরাও নামে ওই ব্যক্তি। কোথা থেকে নতুন কাগজ পাবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া ওই এলাকায় হাতির হানা নতুন কিছু নয়। ফিরাবাবুর বাড়িতে এর আগে হানা দিয়েছে হাতির দল। কিন্তু হাতি যে আধার কার্ড খেয়ে ফেলতে পারেন তা ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করতে পারেননি তিনি।
শনিবার রাতে শিমুলপুরে ঢোকে হাতির পাল। তখন বাড়িতে ছিলেন না ফিরা ওঁরাও। বাড়িতে ড্রামে রাখা ছিল ১৫ কিলোগ্রাম চাল। সেই ড্রামেই রাখা ছিল ব্যাঙ্কের পাশবই ও আধার কার্ড। বাড়ি ফিরে ফিরাবাবু দেখেন, চাল খেয়ে গিয়েছে হাতি। তখনই আধার কার্ডের খেয়াল পড়ে তাঁর। তন্ন তন্ন করে চারিদিক খুঁজেও না পেয়ে বুঝতে পারেন সেটিও সাবাড় করেছেন গজরাজ।
বন দফতরের ওপর একরাশ ক্ষোভ উগরে ফিরা ওঁরাও বলেন, হাতির হামলার ভয়ে রাতে ঘরে থাকতে পারি না। মাঝেমাঝেই বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গ থেকে বেরিয়ে হামলা চালায় হাতির দল। কিন্তু বনদফতর কোনও ব্যবস্থা নেয় না। হাতি আমার ব্যাঙ্কের বই আর আধার কার্ড খেয়ে ফেলেছে। এবার বনদফতর কি আমার কাগজ ফিরিয়ে দেবে?