জঙ্গল থেকে হাতি লোকালয়ে চলে আসছে। তার জেরে একদিকে যেমন গ্রামবাসীরা আক্রান্ত হচ্ছেন তেমনি অন্যদিকে চাষের ফসল নষ্ট হচ্ছে। তাই হাতির আক্রমণ থেকে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে বেশ কয়েকটি জেলায় বিশেষ করিডর তৈরি করতে চলেছে বন দফতর। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে হাতি এবং মানুষের মধ্যে তৈরি হওয়া সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন বনমন্ত্রী? এই সমস্যার কথা প্রায়ই শুনতে পান রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন হাতি করিডর গড়ে তোলার। এই করিডরের মধ্যে দিয়ে হাতি চলাচলের ব্যবস্থা করা গেলে গ্রামবাসীদের জীবন–সম্পত্তি অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘এতে সরকারের আর্থিক সাশ্রয় হবে। হাতির আক্রমণে কেউ হতাহত হলে এবং ঘর–বাড়ি, ফসলের ক্ষতি হলে নির্দিষ্ট হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ যে সব জেলায় হাতির দেখা মেলে, সেখানে করিডর করা হবে। ঝাড়গ্রাম, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি জেলায় তিনটি করে করিডর তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কয়েকটি জেলায় দু’টি বা একটি করিডর করা হবে।’
কেমন করে করা হবে করিডর? বন দফতর সূত্রে খবর, যে সব পথে হাতির দল চলাচল করে সেসব জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। তারপর সেখানে করিডর করা হবে। এই করিডর হয়ে গেলে আর হাতির তাণ্ডব সহ্য করতে হবে না। কারণ হাতি যাতে করিডরের বাইরে আসতে না পারে, তার ব্যবস্থা থাকবে। হাতির খাবারের জন্য সেখানে চালতা, কলাগাছ ইত্যাদি লাগানো হবে। সুতরাং খাবারের সন্ধানে হাতি জঙ্গল থেকে বেরলে ওই করিডরে প্রবেশ করবে। আর সেখানেই মিলবে খাবার।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই হাতির হানা আটকাতে বন দফতরের পদস্থ অফিসারদের নিয়ে একটি কোর টিম গঠন করা হয়েছে। একইভাবে হাতিকে মোকাবিলার জন্য ‘গজ মিত্র’ নামে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করা হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের নিয়েই এই বাহিনী তৈরি করা হবে। তার জন্য ভাতা পাবেন তাঁরা। এমনকী হাতির আক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে জানান বনমন্ত্রী।