কাঁচা বাড়ি ভেঙে হাতির চাল – গম লুঠ করা এরাজ্যে নতুন নয়। কিন্তু টাকা লুঠের ঘটনা আগে কখনও শোনা যায়নি। এবার তেমনই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের গুড়গুড়িপাল থানা এলাকার শালিকা গ্রামে। ঘটনায় হতবাক গৃহস্থ থেকে গ্রামবাসীরা।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত দশটা নাগাদ ছ’টি হাতির একটি পাল গোপগড় বিটের পাঞ্জাশোলের জঙ্গল ছেড়ে প্রবেশ করে শালিকা গ্রামে। জঙ্গল লাগোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বাদল দলুই নামে এক ব্যক্তির ইঁটের বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে দেয়। বাড়িতে মজুত থাকা রেশনের চাল, গমের বস্তা শুঁড় দিয়ে বের করে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে সাবাড় করে তারা। আর ওই গমের বস্তার মধ্যেই না কি রাখা ছিল সাড়ে তেরো হাজার টাকা। গমের সঙ্গেই তা হাতির পেটে চলে যায় বলে দাবি পরিবারের। ভোরে পাশের জঙ্গলে বস্তার খোঁজ পেলেও টাকার খোঁজ পাননি পরিবারের সদস্যরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের লোকজন। হাতিগুলিকে তাড়িয়ে ফের জঙ্গলে ফেরত পাঠান তাঁরা। বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছালে তাঁদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামবাসীরা। বাদল বাবুর স্ত্রী আশালতা দলুই জানান, ‘গতকাল রাl দশটা নাগাদ হাতি এসে বাড়ির দেওয়াল ভেঙ্গে চাল-গম খেয়ে ফেলে। স্বামী মদ্যপ বলে তাঁর নজর এড়িয়ে ১৩,৫০০ টাকা গমের বস্তার মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলাম। গম সমেত সেই টাকা খেয়ে ফেলেছে হাতি।’
এক বনকর্মী বলেন, বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ মিলবে। কিন্তু টাকা খেয়ে নেওয়ার প্রমাণ দেখানো কী ভাবে সম্ভব?
অন্যদিকে চাঁদড়ার শুকনাখালিতে দশটি হাতির অন্য একটি পালের তাণ্ডবে ক্ষতি হয় সদ্য রোয়া ধান জমির। যদিও হাতির ওই পালটিকে হুলা পার্টির লোকজন তাড়িয়ে কংসাবতী নদী পার করে মানিকপাড়ার দিকে পাঠাতে সক্ষম হন। আবার পিড়াকাটার নোনাশোলে সকাল বেলা ধানের চারা গাছ খেয়ে ফেলে একটি হাতি।