ফের লোকালয়ে গজরাজের তাণ্ডব। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে দাপিয়ে বেড়াল গ্রামে। ঘটনায় আতঙ্কে সিটিয়ে রইলেন গ্রামবাসীরা। প্রায় দুঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গ্রামে তাণ্ডব চালায় হাতির দল।বেশ কয়েকটি বাড়িতে তারা ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও একটি মুদির দোকান ভেঙে বিস্কুট, বাতাসা, খেজুর, লাড্ডু যা পেয়েছে নিমেষে সাবাড় করে দিয়েছে। পাশাপাশি একটি আটাকলের দেওয়ালও ভেঙে দিয়েছে। এ দিনের ঘটনায় সব কিছু খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে বনবিভাগ।
আরও পড়ুন: গর্ভবতী হাতির পেটে জলন্ত রড! অরণ্যভবনে গিয়ে হতাশ বং গাই সহ ইউটিউবাররা
জানা গিয়েছে, গভীর রাতে ৬টি হাতির একটি দল বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় রেঞ্জের কোদালিয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। প্রথমে গ্রামের একটি মুদির দোকানে তাণ্ডব চালায় হাতির দল। দোকানের দেওয়াল ভেঙে আলু, বিস্কুটসহ দোকানের অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী খেয়ে ফেলে। হাতির তাণ্ডবের সেই দৃশ্য নিজের চোখের সামনে দেখেন দোকান মালিক। তিনি জানান, দোকান থেকে নিকটেই অবস্থিত তার বাড়ি। ভাঙচুরের আজ শুনে তিনি উঠে পড়েন। এর পরে দেখেন দোকানে তাণ্ডব চলাচ্ছে হাতি। দোকানে রাখা সবকিছু খাদ্য সামগ্রী একের পরে খেয়ে নিয়েছে।
তবে বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন দোকান মালিক। কারণ তিনি মাঝেমধ্যেই রাতে দোকানে শুয়ে থাকেন। এদিন কোনও কারণে তিনি দোকানে ছিলেন না। তবে দোকানে থাকলে যে কি বড় বিপদই না ঘটত তা ভেবেই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দোকান মালিক। এর পাশাপাশি গ্রামের একটি আটাকলের দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে হাতির দল। এছাড়াও আটকলের দুটি দরজায় ধাক্কা মারার ফলে সেগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের ডিএফও দেবাশিস মহিমা প্রসাদ প্রধান জানিয়েছেন, ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখে সরকারি নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
দোকান মালিক জানান, তার দোকানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। ৪০ মিনিট ধরে দোকানে হাতি ছিল। ক্ষয়ক্ষতির জন্য তিনি বন বিভাগের কাছে আবেদন জানাবেন। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে গ্রামের বিভিন্ন জায়গাতে তাণ্ডব চালানোর পর সবজি ক্ষেতে চলে যায় হাতির দল। সেখানে চাষিদের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যদিও বাঁকুড়ার ওই এলাকায় হাতির তাণ্ডব নতুন নয়। প্রায়ই সেখানে চলে আসে হাতির দল। তবে এই ৬ টি হাতির দলটি গত কয়েক মাস ধরে সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় হাতিগুলিকে অবিলম্বে জঙ্গলে তাড়ানোর ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছে হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধানে গঠিত সংগ্রামী গণমঞ্চ।