বড়সর চক্রের হদিশ হুগলির চন্ডীতলার বেগমপুর খরসরাইতে। একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অন্তত চারটি হাতির দাঁতের তৈরি মূর্তি ও ভাস্কর্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ও বনদফতর একজনকে গ্রেফতার করে। একবার দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। এত অপূর্ব দেখতে মূর্তিগুলি। সবগুলিই হাতির দাঁতের তৈরি। বুধবার পুলিশ বনদফতর যৌথভাবে অভিযানে নামে। এরপরই হাতির দাঁতের তৈরি ওই বহুমূল্য মূর্তিগুলিকে বাজেয়াপ্ত করে। ধৃতের নাম নারায়ণ মাঝি। এদিকে এই সামগ্রীগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হচ্ছিল ও কোথায় পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও বনদফতর।
প্রাথমিকভাবে বনদফতরের অনুমান মূর্তিগুলি প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের। নারাযণকেই সম্ভবত বিক্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেকাজ সফল হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে উদ্ধার হওয়া মূর্তিগুলির মধ্যে একটি দক্ষিণ আফ্রিকার হাতির দাঁত ও অপরটি থাইল্যান্ডের হাতির দাঁতের মূর্তি। সম্ভবত শিলং থেকে এগুলি চুরি করে আনা হয়েছিল। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা যুক্ত তা বনদফতর খতিয়ে দেখছে।
হাওড়ার বিভাগীয় বনাধিকারিক নিরঞ্জিতা মিত্র জানিয়েছেন, হাতির দাঁতের তৈরি চারটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। হুগলির চন্ডীতলা থানার এলাকা থেকে এগুলি পাওয়া গিয়েছে। হাওড়া বনবিভাগ ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান করা হয়েছিল। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামা হয়েছিল।