আজ, সোমবার সকাল থেকেই শহর–শহরতলিতে সিবিআই–ইডির হানা শুরু হয়েছে। অন্যদিকে বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর আপ্ত–সহায়ক এবং নিরাপত্তারক্ষীকে সিজিও কমপ্লেক্সে রাতেই নিয়ে আসেন তদন্তকারী আধিকারীকরা। লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ছেড়ে দেওয়া হলেও আপ্ত–সহায়ক রবিন্দর সিংকে রাতভর সেখানে জেরা করা হয়। সোমবার সকাল পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। দক্ষিণ কলকাতার রানিকুঠীতে আজ সকালে এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে সিবিআই। এই অবস্থায় সোদপুরের রাজেন্দ্রপল্লির একটি বাড়িতে হানা দেন ইডির আধিকারিকরা। সপ্তাহের শুরুতেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
কী কারণে এমন অভিযান? সূত্রের খবর, কোনও একটি গোপন খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে কে বা কারা এই গোপন খবর দিয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না তদন্তকারীরা। আজ, সোমবার সোদপুরে সুব্রত মালাকার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ইডি’র অফিসারদের সঙ্গে ছিলেন ব্যাঙ্কের কর্মীরা। তবে কেন এই হানা? এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি।
ঠিক কী করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? রবিবার বীজপুরে মোট ছ’জায়গায় অভিযান চালায় সিবিআই। একইসময়ে ৬টি দল ছ’জায়গায় তল্লাশি চালায়। হালিশহর জেঠিয়াতে কমল অধিকারীর ফ্ল্যাটে, হালিশহর মঙ্গলদীপ, হালিশহর জেঠিয়াতে সুবোধ অধিকারীর পৈত্রিক বাড়িতে, জেঠিয়ায় অভিজিৎ শিকদারের বাড়িতে হানা দেয় তাঁরা। চিটফান্ড–কাণ্ডে তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হালিশহরের বাড়ির পাশাপাশি কলকাতার পাইকপাড়ার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। লেকটাউনের কাছে দক্ষিণদাঁড়ি এবং বিটি রোডের ফ্ল্যাটেও রবিবার তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই যে তথ্য নথি পেয়েছে সেটা ইডির হাতে তুলে দিয়েছে। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই হানা দিতে শুরু করে ইডি। তবে চিটফান্ড মামলায় হালিশহরের পুরপ্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজু সাহানির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৮০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই সুবোধের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান হয়েছে। আর সোমবার কলকাতা এবং সোদপুর এলাকায় দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযান শুরু হয়েছে।