মানিক ভট্টাচার্য নিজেই প্রমাণ দিয়েছিলেন তিনি নিখোঁজ হননি। কয়েকদিন আগে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মানিককে সহজে ছাড়তে নারাজ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই জাল গোটাতে মানিক ভট্টাচার্য তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে কত জমি কিনেছে, সেটা জানতে নদিয়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে মথি চেয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এমনকী আটজনের নামের তালিকা দিয়েছে তারা। যার মধ্যে মানিকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, পুত্রবধূ এবং দু’টি বেসরকারি সংস্থার নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কেন এই নথি চাইল ইডি? এই মানিক ভট্টাচার্য তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশিপাড়ার বিধায়ক। আগে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন। আবার মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক বাড়ি নদিয়ার কালীগঞ্জের ঘোড়াইক্ষেত্র গ্রামে। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়িয়েছে। তাই বেআইনি পথে রোজগার করা টাকায় সেখানে কোনও জমি কিনে রেখেছেন কিনা তা জানতে চায় ইডি। এমনকী মানিকের স্ত্রী–সহ পরিবারের সদস্যদের নামে জমি কেনা হয়ে থাকলে তার নথি চেয়েছে ইডি।
কী তথ্য দিচ্ছে রেজিস্ট্রি অফিস? নদিয়া জেলা রেজিস্ট্রি অফিস খুঁজে দেখেছে, ইডির দেওয়া সাল অনুযায়ী মানিকের ছেলে এবং মেয়ের নামে জমি কেনা হয়েছে। এমনকী জমি রেজিস্ট্রি নিয়ে পাওয়া তথ্য ইডি–কে দেওয়া হয়েছে। আবার কৃষ্ণনগরের রেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য, ২০১৪ সালে রাজারামপুর–ঘোড়াইক্ষেত্র মৌজায় সৌভিকের নামে জমি কেনা হয়েছিল। আর ২০২১ সালে মেয়ে স্বাতী ভট্টাচার্যের নামে আমবাগান কেনা হয়েছে।
কী করতে চলেছে ইডি? এই নথিগুলি নিয়ে তদন্ত করে দেখতে চাইছে ইডি। তারপর প্রতিটি বিষয় দেখিয়ে মানিককে জেরা করতে চায় ইডি। যদিও মানিক ভট্টাচার্য বরাবর বলে এসেছেন তিনি তদন্তে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এই জমি কেনা হয়েছে কোন টাকায় তা খতিয়ে দেখছে ইডি। সেক্ষেত্রে মানিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখা হবে বলে ইডি সূত্রে খবর।