আজ, বুধবার বোলপুরের শান্তিনিকেতনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি অপা’য় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)৷ আজ সকালেই কলকাতা থেকে বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ইডি’র দল৷ ইতিমধ্যেই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছেন তদন্তকারীরা৷ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সকালে রওনা দিয়ে পৌঁছয় ৬ গাড়ির কনভয়। তদন্তে উঠে আসে শান্তিনিকেতনের ‘অপা’ বাড়িটির মালিক শুধুই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়।
ঠিক কী ঘটেছে শান্তিনিকেতনে? এখানে এসেই গোটা বাড়িটি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই বাড়িটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা মহিলা কর্মী গেট খুলে দিতেই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। ২০১২ সালে এই বাড়িটি অর্পিতার নামে কেনা হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। তবে বাড়িটির দলিলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সই মিলেছে। বাড়ির দলিল দেখে বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিকের সূত্রে একই খবর মিলেছে। পার্থ–অর্পিতাকে জেরা করে শ্যামবাটির এই বাড়ির খোঁজ পান ইডি আধিকারিকরা। অনেকের দাবি, অর্পিতা–পার্থের নামের আদ্যক্ষর জুড়ে এই বাড়ির নামকরণ।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়–অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পরেই শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকের ফুলডাঙার এই বাড়িটির খোঁজ পাওয়া যায়। শুধু অপা নয়, শান্তিনিকেতনে পার্থ এবং অর্পিতার একাধিক সম্পত্তির খোঁজও মিলেছে। বুধবার ‘অপা’র অন্দরমহলে প্রবেশ করেন ইডি আধিকারিকরা। এখন সেখান থেকে কী বেরিয়ে আসে সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, আজই আবার আদালতে তোলা হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়–অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। তার আগে দু’জনের বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া ইডি৷ তাই এই ঝটিকা হানা দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেশ করে পার্থ–অর্পিতাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় ইডি। স্থানীয়েরা জানান, অর্পিতাকে প্রায়ই ওই বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা যেত।