গরু পাচারের মামলায় এখন জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে নয়াদিল্লি নিয়ে যেতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে তদন্তে নামল ইডি’র অফিসাররা। এবার অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে কতজন স্কুল ও বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরি পেয়েছেন সেটা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করল ইডি। এমনকী তাঁদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে কেষ্ট আর্থিক সুবিধা নিয়েছিলেন কি না সেটা জানতে তদন্ত করছেন তদন্তকারীরা।
কোন বিষয়গুলি তদন্তে নামল ইডি? সূত্রের খবর, মেধা তালিকায় নাম নেই, অথচ চাকরি পেয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন প্রার্থীর তালিকা ইডি’র হাতে এসেছে। আবার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, প্রত্যেক জেলা থেকেই প্রার্থীদের নামের তালিকা এসেছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। সেই তালিকায় বীরভূম জেলার নামও আছে। এমন সব তথ্য যাচাই করতে ফের ময়দানে ইডি।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে ইডি? ইডি সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের সম্মতি নিয়েই তালিকা তৈরি করে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মনোনীত প্রার্থীরা সকলেই স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। মেধা তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। স্কুলে গ্রুপ–সি ও গ্রুপ–ডি পদে অনেকেই বীরভূম জেলার সভাপতির হাত ধরে চাকরি পেয়েছেন। আর কোন কোন সরকারি দফতরে নিয়োগে কেষ্ট প্রভাব খাটিয়েছেন তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এমন অনেকেই আছেন যাঁরা এখনও বীরভূম, বর্ধমান–সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কর্মরত। এঁদের চাকরি পাইয়ে দিউতে অনুব্রতর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। শুধু সরকারি স্তরে নয়, বীরভূমে বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাঙ্ক–সহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও নিজের পছন্দের লোককে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন তিনি। গরু পাচারের কালো টাকা ব্যাঙ্কে রেখেও যাতে সুরক্ষিত থাকা যায় তাই এই পরিকল্পনা বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। গোটা বিষয়টির এখন খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা।