লোকসভা নির্বাচনে এবার রাজ্যে সবুজ ঝড় দেখা গেলেও মালদা দক্ষিণ আসনটিকে কংগ্রেসের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে এবার জয়ী হয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী। ইংরেজবাজার পুরসভাটি মালদা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পরে। তবে সম্প্রতি এই পুরসভায় বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নাগরিকদের কাছ থেকে জঞ্জাল কর সংগ্রহ করা হবে। আর তারপরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘাসফুল শিবির এখানে ভালো ফল করতে না পারায় তৃণমূল পরিচালিত ইংরেজবাজার পুরসভা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বদলার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুরসভা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ই-বর্জ্য সংগ্রহে আবাসনে শিবির, সচেতন করতে প্রচার চালাবেন কাউন্সিলররাও
ইংরেজবাজার পুর এলাকায় প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি ঘুরে আবর্জনা সংগ্রহ করেন পুর কর্মীরা। সেই আবর্জনা ফেলা হয় একটি নির্দিষ্ট স্থানে। এতদিন বিনামূল্যে এই পরিষেবা দিত ইংরেজবাজার পুরসভা। তবে সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে , বিনামূল্যে এই পরিষেবা আর দেওয়া হবে না। এরজন্য কর নেওয়া হবে। প্রতি মাসে ৩০ টাকা করে জঞ্জাল কর নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পুর নাগরিকদের একাংশ। তাদের দাবি, এই পরিষেবাগুলি বিনামূল্যে দেওয়া উচিত। কর নেওয়া হলে তারা আন্দোলনে নামবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক পরেই পুরসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর ।
বিজেপির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে পুর এলাকায় ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। সেই কারণেই সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। তবে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দাবি, কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মতোই এই কর নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার অনুমতি দিলেই এই কর নেওয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ীর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার পৌরসভায় ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূলের। সেই কারণেই নাগরিকদের ওপর বাড়তি করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। পুর এলাকায় প্রচুর গরিব মানুষ বাস করেন। তারা এই কর দেবেন কি করে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, এর আগে বরাহনগর এবং কামারহাটি পুরসভাতেও জঞ্জাল কর চালু হয়েছে লোকসভা ভোটের আগে। সেক্ষেত্রে কামারহাটি পুরসভা জঞ্জাল কর বাবদ প্রতি মাসে নাগরিকদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে নিচ্ছে। সেক্ষেত্রেও জানানো হয়েছিল, কেন্দ্রের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত।