হাতুড়ি এবং ছুরি দিয়ে নিজের মাকে নৃশংসভাবে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন সিআইএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার ছাতনা থানার চণ্ডীদাস পল্লী এলাকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একজন প্রাক্তন সিআইএসএফ জওয়ানের এরকম কীর্তিতে হতবাক এলাকার মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার নাম বন্দনা মন্ডল। গতকাল বাড়ির দরজা জানলা বন্ধ করে ওই যুবক মাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ। ধৃতকে আজ বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে তার তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে। সেই সময় মৃতার স্বামী বাজারে গিয়েছিলেন। তখন মাকে একা পেয়ে ঘরের দরজা জানলা সব বন্ধ করে দেয় ওই গুণধর ছেলে। এর পরেই হাতুড়ি এবং ছুরি দিয়ে নৃশংসভাবে মাকে খুন করে। বন্দনা মণ্ডলের স্বামী স্বপন মণ্ডল জানান, ‘আমি বাজারে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে দেখি ঘরের দরজা জানলা সব সিল করা রয়েছে। অনেক ডেকেও কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে এরপর শালাকে ফোন করি। তারপর আমরা পুলিশের কাছে যাই। পুলিশ গ্রিল কাটা মেশিন নিয়ে এসে ঘরের দরজা খোলে। তারপরেই দেখি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বন্দনাকে।’
জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে সিআইএসএফের চাকরি ছেড়ে ছিলেন ওই যুবক। এক বছর তিনি সিআইএসএফ জওয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তারপর থেকে বাড়িতেই ছিলেন। আর এই নিয়ে বাবা মায়ের সঙ্গে প্রায়ই ঝামেলা হত ছেলের। যদিও কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তবে অভিযুক্ত ছেলের চোখে মুখে অনুশোচনার লেশ মাত্র নেই। তার দাবি, ‘আট-দশ বছরের কাহিনি রয়েছে ঠিক জানতে পারবেন।’ এই ঘটনায় ছেলের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন বাবা।