উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় পরীক্ষা বাতিল হল এক ছাত্রীর। সুস্মিতা গড়াই নামে ওই ছাত্রী ইংরাজি পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, মাস্কের নীচে ব্লুটুথ হেডসেটের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করার চেষ্টা করছিল সে। তদন্তে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে বাঁকুড়া পরিমলদেবী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীর।
ঘটনা শনিবারের। উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে ছিল দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা। বিষ্ণুপুর হাই স্কুলে পরীক্ষাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন সুস্মিতা গড়াই নামে ওই পরীক্ষার্থী। অভিযোগ ওঠে মাস্কের নীচে ব্লুটুথ হেডসেট পরে পকেটে ফোন নিয়ে পরীক্ষা দিতে ঢুকেছিল সে। গোটা পরীক্ষা দিয়ে সে খাতা জমা দিয়ে বাড়িও চলে যায়। এর পর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
ঘটনার তিন দিন পর সংসদের তরফে সুস্মিতার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিকের হলে মোবাইল ফোন রুখতে বাড়তি কড়াকড়ি করেছিল সংসদ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, হলের ভিতর কোনও পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন সহ ধরা পড়লেই বাতিল হবে তাঁর পরীক্ষা। হলের ভিতর মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের চিহ্নিত করার জন্য চিফ ইনভিজিলেটর নামে একটি পদ তৈরি হয়েছে। মোবাইল ফোন চিহ্নিত করতে দরকারে মেটাল ডিটেকটর ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিলেন সংসদের চেয়ারপার্সন মহুয়া দাস।
প্রশ্ন উঠছে, এক কিছুর পরেও একজন পরীক্ষার্থী মোবাইল ফোন সহ গোটা পরীক্ষা দিয়ে চলে গেল কী করে? প্রশ্ন ওঠে, যাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা তাদের কী শাস্তিবিধান করল সংসদ?