আদালতে একের পর এক ভুয়ো সাক্ষী পেশ করে বেকসুর খালাস হয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। তাঁর এই কীর্তি জানতেও পারেননি মামলাকারী। কিন্তু গোল বাঁধল অভিযুক্ত পুলিশে চাকরি পাওয়ার পর। তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করে যা জানা গেল তাতে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। ঘটনা মালদার মানিকচকের।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে মানিকচকের বাসিন্দা সরিকুল আলমের বাড়িতে ঢুকে দিলদার হোসেন ও তাঁর দলবল তাঁকে আক্রমণ করেন। দিলদার হাঁসুয়া দিয়ে সরিকুলের মাথায় কোপ বসায়। পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলে গ্রেফতার হন দিলদার। ঘটনায় পুলিশ চার্জশিট পেশ করে। কিন্তু মুক্তি পেয়ে যায় দিলদার। সরিকুল ভেবেছিলেন দিলদার আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। কিন্তু মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সম্প্রতি সরিকুল জানতে পারেন অভিযুক্ত দিলদার পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। ফৌজদারি অপরাধে বিচারাধীন অভিযুক্ত কী করে সরকারি চাকরি পেলেন? তথ্য জানার অধিকারে সেকথা জানতে চেয়ে আবেদন করেন। তার জবাব এলে জানা যায় ২০২২ সালে আদালত থেকে বেকসুর খালাস হয়ে যান অভিযুক্ত। ফলে চাকরি পেতে সমস্যা হয়নি।
কিন্তু সওয়াল জবাব ছাড়া কী করে মামলার ফয়সলা হল? আইনজীবী মারফৎ সরিকুল জানতে পারেন, আদালতে ৩ ভুয়ো সাক্ষী দাঁড় করিয়ে মামলা জিতেছেন দিলদার। ২০২২ সালের মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে ওই ৩ জন আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন বলে জানা যায়। যদিও আসল ব্যক্তিদের কাছে আদালতের তলবই পৌঁছয়নি বলে দাবি তাঁর।
এই ঘটনায় আদালতে পুট আপ পিটিশন দায়ের করেছেন সরিকুলের আইনজীবী অমলকুমার দাস। তিনি বলেন, কোনও পরিচয়পত্র যাচাই না করে কী করে কারও পরিচয় নিশ্চিত করা হল? এর পিছনে আদালতের কোনও কর্মীর হাত রয়েছে।