বিশ্বভারতীর যে তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাতে কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, লঘু পাপে গুরু দণ্ড। তারপরই আদালত নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে তিন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরিয়ে নিতে হবে। আর স্বাভাবিক পঠনপাঠনের সুযোগ দিতে হবে। তারপর শুক্রবার রাতেই তিন বহিষ্কৃত পড়ুয়াদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়ে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের চিঠি দেন বিশ্বভারতীর প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদার।
এই পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। সোমবার থেকেই অনলাইন ক্লাসে যোগ দেওয়ার কথা সোমনাথ সৌ, ফাল্গুনী পান ও রূপা চক্রবর্তীর। কিন্তু অভিযোগ, তাঁরা ক্লাসে যোগ দিতে পারেননি। কারণ ক্লাসে যোগ দেওয়ার কোনও লিঙ্ক পাঠানো হয়নি। এমনকী বিভাগীয় নির্দেশও আসেনি তাঁদের কাছে। মঙ্গলবারও ছবিটি বিন্দুমাত্র বদলায়নি। ওই তিন পড়ুয়া কোনও ক্লাস করতে পারছেন না।
এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হযে মঙ্গলবার আবার আদালতের দ্বারস্থ হন বহিষ্কৃত পড়ুয়ারা। এই ঘটনায় ছাত্রদের পক্ষ থেকে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবেই আজ আদালতে যান সোমনাথ। তবে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পড়ুয়ারা আন্দোলন সরিয়ে নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অগস্ট বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে তিন ছাত্রকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়। ফাল্গুনী পান, সোমনাথ সৌ এবং রূপা চক্রবর্তীকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবার পদার্থ বিজ্ঞানের দুই অধ্যাপক পীযুষকান্তি ঘোষ ও অরণি চক্রবর্তীকে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাসপেন্ড করে বিশ্বভারতী। তাতেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।