জলসীমা বুঝতে না পেরে বাংলাদেশের জলসীমায় চলে গিয়েছিলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। এরপর তাদের ধরে ফেলে বাংলাদেশের নৌসেনা।
তারপর কী হল?
বাংলাদেশে তারপর কী হয়েছিল তারই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন একাধিক মৎস্যজীবী। সদ্য বাংলাদেশের জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তাঁরা বাংলায় ফিরে এসেছেন। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও তাঁদের কাছ থেকে জানতে পেরেছেন কীভাবে বাংলাদেশে তাঁদের মারধর করা হয়েছিল।
সংবাদমাধ্য়মে সেই মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, আমাদের ধরার পরে আমরা বলেছিলাম আমাদের মেশিন একটু ডিসটার্ব হচ্ছে। কোনও কথা শুনল না বলল, ওঠ ওঠ। এরপর হাত দুটো বেঁধে দিল। সারা রাত ধরে মারধর করল।
অপর এক মৎস্যজীবী বলেন, আমাদের কাছে জিপিএস ছিল। কিন্তু সেটা ঠিকঠাক কাজ করছিল না। আমরা বাংলাদেশের জলসীমায় চলে যাই। মাঝি জানে না ঠিক করে। আমরা আত্মসমর্পণ করেছিলাম। তারপরেও আমাদের প্রচুর মারধর করল। মাঝি আর ইঞ্জিন মিস্ত্রি দুজনকে ট্রলারে রাখল। বাকিদের সারা রাত হাত বেঁধে রাখল। মারল। এরপর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে গেল। সেখানে উলটো পালটা কথা বলছিল।
কিন্তু কেন মারধর করা হল ভারতীয় মৎস্যজীবীদের? তাঁরা তো জলদস্যু নন, তারপরেও কেন এই ব্যবহার পেলেন তাঁরা? তবে কি ভারতীয় বলেই পেটানো হল?
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্য়মন্ত্রীও। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা যখন কেউ ধরা পড়েন ভারতের জলসীমায় তখন তাদের কীভাবে যত্নে রাখা হয়। চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। আর তার বিনিময়ে উলটো ব্যবহার পেলেন ভারতের মৎস্যজীবীরা।
মমতা গঙ্গাসাগরে বলেন, পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন আমাদের মৎস্যজীবীরা। সীমানা পেরিয়ে চলে গিয়েছিলেন। কয়েকজনকে দেখলাম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। সবাই নয়, আমি বললাম খুঁড়িয়ে হাঁটছেন কেন? তাঁরা বলতে চাননি। জানতে পারলাম তাদের কয়েকজনকে মারধর করা হয়েছে। তাদের নিয়ে গিয়ে হাত দুটো দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের মোটা লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে। কয়েকজনের শারীরিক কোমর থেকে পা পর্যন্ত চোট। জামাকাপড় পরে আছে বলে বোঝা যাচ্ছে না। তার কাঁদছিল। জিজ্ঞাসা করছিলাম বলছিল। আমি ডিএমকে বলব তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। ওনাদের একটা ট্রলার এখানে চলে আসে। জলের মধ্যে সীমানা ঠিক করতে পারে না। কিন্তু আমরা বারন করব আপনারা কখনও আমাদের সীমানার বাইরে যাবেন না। তাতে মাছ না উঠলে উঠবে। জীবন থাকলে অনেক মাছ পাবেন।